WB Budget 2023: ক্ষুদ্রশিল্পে রেকর্ড সাফল্য, দেউচা-পাঁচামি-বানতলায় আরও কর্মসংস্থান, জানাল রাজ্য
WB Budget:বুধবার দুপুরে বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থ বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কলকাতা: তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে শিল্পের দেখা নেই বলে বার বার কটাক্ষ উড়ে এসেছে বিরোধী শিবির থেকে। সেই আবহে, ২০২৩-'২৪ সালের বাজেটে কর্মসংস্থানে (Employment) জোর দিল রাজ্য সরকার। দেউচা-পাঁচামি, বানতলা লেদার হাব থেকে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে বলে জানাল রাজ্য (WB Budget 2023)। বাজেট পেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই বাজেট কর্মসংস্থানের উপযোগী বাজেট।"
২০২৩-'২৪ সালের বাজেটে কর্মসংস্থানে জোর দিল রাজ্য সরকার
বুধবার দুপুরে বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থ বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। বাজেটে কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। চন্দ্রিমা জানান,স গত কয়েক বছরে রাজ্যে বহু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মাঝারি, ছোট এবং ক্ষুদ্রশিল্পে ২০১০-'১১ সালে যেখানে ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ২০২১-'২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ ১৪ গুণ বেশি ঋণ ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। ২০২২-'২৩ অর্থবর্ষে তা ১.১৫ কোটি লক্ষ পৌঁছয় বলেও জানানো হয়।
চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী দুই বছরে আরও ২.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বানতলা লেদার কমপ্লেক্সকে সম্পূর্ণ ভাবে পরিবেশ সহায়ক করে তুলতে, রাজ্য সিইটিপি বসিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। দেশের কোথাও এমন নিদর্শন নেই বলে জানান তিনি।
দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পে রাজ্যে বহু সংখ্যাক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সেই সুরই এ দিন ধরা পড়ে চন্দ্রিমার গলায়। তিনি জানান, "দেউচা-পাঁচামির কাজ সন্তোষজনক ভাবে হচ্ছে। পরীক্ষামূলক খননকার্য শেষ হলে, শীঘ্রই কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বাণিজ্যিক ভাবে। এই কাজে মোট ৩৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ এবং ১ লক্ষের বেশি যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের ঘোষণা"
বানতলা লেদার কমপ্লেক্স সম্পূর্ণ ভাবে পরিবেশ সহায়ক
দেউচা পাঁচামনির কাজ হচ্ছে সন্তোষজনক। পরীক্ষামূলক খনন শেষ হলে, শীঘ্রই এখান থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বাণিজ্যিক ভাবে। এই কাজে মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং ১ লক্ষের অধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে বলে জানান চন্দ্রিমা। হাওড়ায় ঢালাই শিল্পের উন্নয়নে ফাউন্ড্রি পার্কের কথা জানান চন্দ্রিমা। তথ্যপ্রযুক্তিতেও রাজ্যে রেকর্ড বিনিয়োগ এসেছে বলে জানান।