RAS Success Story : ঝাড়ুদার থেকে ডেপুটি কালেক্টর, আশাই ভরসা
RAS Success Story of Asha Kandra: বিবাহবিচ্ছিন্না, দুই সন্তানের মা আশা। বিয়ের পরে স্বামীর ঘর ছেড়ে যেভাবে একার হাতে ঘর-সংসার, সন্তান সামলে প্রশাসনিক অফিসার হয়েছেন, প্রশংসনীয় সে লড়াই।
![RAS Success Story : ঝাড়ুদার থেকে ডেপুটি কালেক্টর, আশাই ভরসা Know the inspiring story of Asha Kandra journey from sweeper to administrative service officer RAS Success Story : ঝাড়ুদার থেকে ডেপুটি কালেক্টর, আশাই ভরসা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/04/08/1e3e926b759ca6340d065b7f9119a16f_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
আশার লড়াইয়ের খবর পুরনো। কিন্তু সে লড়াই শুরু করার জন্য চোয়াল-চাপা যে জেদটা দরকার, তা আর পাঁচজন নতুন লড়াকুর অবশ্যই জানা উচিত। আশার লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আশায় বাঁচতে চাইবেন যাঁরা, এই প্রতিবেদন তাঁদের জন্য। আশা কান্দরা - রাজস্থানের প্রশাসনিক পরিষেবা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ডেপুটি কালেক্টর। মোটের ওপর দু'হাজারেরও বেশি প্রার্থীর সঙ্গে চূড়ান্ত লড়ে RAS হয়েছেন। এককথায়, চূড়ান্ত প্রতিকূলতাকে হেলায় হারিয়ে চূড়ান্ত সাফল্যের নির্দশন আশা। কীভাবে ?
কোশিশ করনে বালো কি কভি হার নেহি হোতি
আর পাঁচটা সাধারণ ঘরের মেয়ের মতোই। চোখে স্বপ্ন ছিল। বুকে আশা। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এগোতে দেয়নি বেশি। ইতি টানতে হয় পড়াশোনায়। উনিশশো সাতানব্বই সালে ছেদ পড়ে লেখাপড়ায়। বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। তবে সুখের হয়নি দাম্পত্য। বিয়ের বছর পাঁচ গড়াতে না গড়াতেই বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানতে বাধ্য হন আশা। শিশুপুত্র ও কন্যাকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়েন। ফিরে আসেন বাপের বাড়ি। জীবন শুরু হয় নতুন করে। ফের শুরু করেন পড়াশোনা। শুরু হয় অন্য লড়াই। দু'হাজার ষোলোয় শেষ করেন গ্র্যাজুয়েশনের পড়াশোনা। দুই সন্তানকে মানুষ করতে, বেঁচে থাকার লড়াই লড়তে চাই অর্থ। অগত্যা ঝাড়ুদারের কাজ শুরু করেন যোধপুর নগর নিগমে। আশার কথায়, কোনও কাজই ছোট বা বড় নয়। মর্যাদাই আসল। জীবন চালাতে যা সামনে পেয়েছেন, তাকেই আঁকড়ে ধরেছেন।
প্রথমবার প্রিলিতে ফেল, দ্বিতীয়বারেই টপার লিস্টে
স্বপ্নপূরণের লড়াই
তবে এখানেই শেষ করে দিতে চাননি লড়াই। চেয়েছিলেন, আরও এগোতে। শুরু করেন পড়াশোনা। এবার স্বপ্ন আরও বড়। প্রশাসনিক আধিকারিকের চেয়ারটির স্বপ্ন দেখতেন আশা। ঘর সামলে, সংসার সামলে, সন্তান সামলে লড়াইটা সহজ ছিল না মোটেও। কিন্তু পিছপা হবার মেয়ে নন তিনি। ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। কিছুতেই দমে যাননি। আশার কথায়, ওই তীব্র কটাক্ষ, ব্যঙ্গগুলিই তাঁর চোয়াল আরও শক্ত করতে সাহায্য করেছে। দু'হাজার আঠেরোয় বসেন RAS পরীক্ষায়। দিন গুনেছেন এক এক করে। অবশেষে দু'বছর পার করে যেদিন রেজ়াল্ট আসে, আশার বাড়িতে সেদিন উৎসব। ক্রমতালিকায় ৭২৮ নম্বর স্থানে ছিলেন আশা।
আরও পড়ুন : চারবার অসফল, সাতবছর টানা লেগে থেকে বাজিমাত
আশার পরামর্শ
লোকে যে যা বলে বলুক, যে যত ঢিল ছোড়ে ছুড়ুক, ব্যথা পাওয়া উচিত নয়। সেই ঢিল-পাথরকেই কুড়িয়ে একটি ব্রিজ বানানো উচিত। সাফল্যের ব্রিজ। আশার এখনকার লড়াই, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে।
তথ্যসূত্র : এবিপি লাইভ হিন্দি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)