IAS Varun Baranwal: স্কুল জীবনে বাবার মৃত্যু, সাইকেল সারিয়ে প্রথম আয়! হার না মানা জেদের জোরেই এখন IAS
IAS Success Story: আর্থিক প্রতিকূলতা ভয় না পেয়ে শিক্ষা হিসেবে নিয়ে লক্ষ্য পূরণে এসেছে সাফল্য। ২০১৬ সালে UPSC (র্যাঙ্ক- ৩২) উত্তীর্ণ হন তিনি।
কলকাতা: স্কুল জীবনে বাবার মৃত্যু। ভেবেছিলেন এখানেই শেষ। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন পড়া ছেড়ে দেবেন। তারপর দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ দেশের IAS বরুণ বরনওয়ালা (IAS Varun Baranwal)।
বলা হয়ে থাকে দেশের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা UPSC। আর্থিক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, পরীক্ষার্থীর অধ্যবসায় আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ছাড়া UPSC-তে সফল হওয়া সম্ভব না। প্রতিবছরই এমন অনেক পরীক্ষার্থী অসম্ভবকে সম্ভব করেন। তেমনই একজন IAS বরুণ বরনওয়ালা। আর্থিক প্রতিকূলতা ভয় না পেয়ে শিক্ষা হিসেবে নিয়ে লক্ষ্য পূরণে এসেছে সাফল্য। ২০১৬ সালে UPSC (র্যাঙ্ক- ৩২) উত্তীর্ণ হন তিনি।
মহারাষ্ট্রের পালঘরের বইসর গ্রামের বাসিন্দা বরুণ। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান বরুণ ছেলেবেলা থেকে ছিলেন মেধাবী। ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। বাবা ছিলেন সাইকেল মেকানিক। তাতেই কোনওক্রমে চলত সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হলেও সন্তানের পড়াশোনার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। মৃত্যু হয় বরুণের বাবার। গোটা সংসার তখন অথৈ জলে। কীভাবে চলবে লেখাপড়া? কীভাবে চলবে সংসার? পরিবারের কথা ভেবে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বরুণ। হাল ধরেন সংসারের। সাইকেল সারানোর কাজ শুরু করেন তিনি।
এরই মধ্যে দশম শ্রেণির ফল প্রকাশ হয়। তাতে প্রথম হন বরুণ। ছেলের মনের ইচ্ছে বুঝতে পারেন মা। তাই দুবার না ভেবে পড়াশোনার কথা চিন্তা করে ব্যবসা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন মা। কিন্তু তারপরে ফের নতুন বাধা। একাদশে ভর্তির জন্য প্রয়োজন ১০ হাজার টাকা। সদ্য স্বামী হারানো বরুণের মায়ের কাছে তখন নেই সেই আর্থিক সঙ্গতি। দেবদূতের মতো হাজির হন এক চিকিৎসক। যিনি বরুণের বাবার চিকিৎসা করেছিলেন। ১০ হাজার টাকা দিয়ে বরুণকে ভর্তি করেন স্কুলে। কিন্তু অধরা থেকে গেল বরুণের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়াল অর্থ। স্কুল জীবন শেষ করে মেডিক্যালে সুযোগ পেয়েও পড়তে পারলেন না বরুণ। সিদ্ধান্ত নিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। পুণের এমআইটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। সেই ভর্তির টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন বরুণের বন্ধুরাই। প্রথম সিমেস্টারে কলেজের মধ্যে সেরা হওয়ায় স্কলারশিপ পেয়েছিলেন বরুণ। সেই স্কলারশিপের টাকা দিয়েই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করেন বরুণ।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষে বরুণ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি শুরু করেন। আর এখান থেকেই বরুণের জীবন নয়া মোড় নেয়। বরুণ স্থির করেন UPSC পরীক্ষায় বসবেন। কিন্তু তাঁর পরিবার চাইত যে, বরুণ ওই আন্তর্জাতিক সংস্থাতেই কাজ করুন। কিন্তু নিজের ইচ্ছাকেই সায় দিয়েছেন তিনি। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একটি এনজিও থেকে বই পেয়েছিলেন তিনি। এরপর শুরু দিনরাত এক করে পরীক্ষার প্রস্তুতি। ২০১৬ সালে একবারেই UPSC উত্তীর্ণ হন বরুণ বরনওয়ালা।
আরও পড়ুন: IAS Success Story: রেস্তোরাঁয় কাজ করে কর্মজীবনের শুরু, সাত বারের চেষ্টায় IAS কে জয়গণেশ
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI