(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Gujarat Election Result: গুজরাতে সহজ জয় বিজেপি-র, নাকি কড়া টক্কর দেবে আপ! দোলাচল কংগ্রেসকে ঘিরে
Gujarat Assembly Election Result 2022: ভারতের রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকেছে গুজরাত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের ভূমিপুত্র।
নয়াদিল্লি: পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন দু’বছরের মাথায়। তার আগে হাইভোল্টেজ লড়াই গুজরাতে (Gujarat Assembly Election Result 2022) । বৃহস্পতিবার গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। গোটা দেশের নজর সেদিকে। ভারতের রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকেছে গুজরাত। তবে বিগত কয়েক বছরে গুজরাত আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই কারণে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) গুজরাতের ভূমিপুত্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) ভূমিপুত্র গুজরাতেরই। ‘গুজরাত মডেল’কে সামনে রেখেই জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করেন তাঁরা এবং অভূতপূর্ব সাফল্যও পান। বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা তাঁরা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রে যখন ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, সেই সময় গুজরাত তাদের কাছে মর্যাদার লড়াই।
গুজরাতে মর্যাদা রক্ষার লড়াই বিজেপি-র
দীর্ঘ সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন মোদি। তাঁর কার্যকালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন শাহ। তবে এ বারের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০২৪-এ মোদি-শাহের ফর্মুলা কতটা কাজ করে, গুজরাতেই তা ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে (BJP) গুজরাতে কড়া টক্কর দিয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। এ বারে আবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও (Aam Aadmi Party) গুজরাতের নির্বাচনে পা রেখেছে। সমালোচকরা আপ-কে বিজেপি-র ‘বি টিম’ হিসেবে উল্লেখ করলেও, কংগ্রেস এবং বিজেপি, দুই দলেরই ভোটে আপ ভাগ বসাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা পেতে কেজরিওয়াল বিজেপি-র বিকল্প হিসেবে আপ-কে তুলে ধরতে চাইছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এ ছাড়াও, এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র মাথাব্যথারও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ২০০২ সালের দাঙ্গা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যেতে বসলেও, সেইসময় গণধর্ষণ এবং চরম নৃশংসতার শিকার বিলকিস বানোর বিচার পাওয়ার লড়াই এখনও জারি। বরং এ বছরই স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসের ১১ জন ধর্ষককে মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি দিয়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। তা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে যেমন রাজ্যের বিজেপি সরকার পড়েছে। তেমনই রাজ্যের সিদদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়ায় নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে মোদির কেন্দ্রীয় সরকারকেও। শুধু তাই নয়, বিলকিসের ধর্ষকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে, মালা পরিয়ে স্বাগত জানানোর দৃশ্যও জনরোষের সঞ্চার করে।
এর পর গোদে উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায় মোরবির ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয়। সেতু ছিঁড়ে পড়ে শিশু-সহ শতাধিক মানুষের সলিল সমাধি ঘটে। সেই ঘটনায় ব্যাপক দুর্নীতি এবং কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘড়ি তৈরির সংস্থাকে কেন সেতু মেরামতির বরাত দেওয়া হয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই কেন খুলে দেওয়া হয় সেতু, কেন নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষকে সেতুতে ওঠার টিকিট বিক্রি করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি যদিও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রচারে কোনও খামতি রাখেনি তারা। মোদি-শাহ তো বটেই, জেপি নাড্ডা থেকে যোগী আদিত্যনাথ, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছেন সেখানে। রবীন্দ্র জাডেজার মতো জনপ্রিয় ক্রিকেটারকেও প্রচারের কাজে লাগিয়েছে বিজেপি।
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়। গত ১ এবং ৫ ডিসেম্বর সেখানে ভোটগ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার মোট ৩৭ কেন্দ্রে ভোটগণনা হবে। আঞ্চলিক দলগুলি থাকলেও, এ বারে গুজরাতে মূলত বিজেপি-কংগ্রেস-আপ— ত্রিমুখী লড়াই। বুথফেরত সমীক্ষায় যদিও বিজেপি-রই প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। তবে ফল ঘোষণার পরই বোঝা যাবে আসল সমীকরণ।