
Sukanta Majumdar: প্রত্যাশা জাগিয়েও বাংলায় ধরাশায়ী BJP, মন্ত্রিত্ব পুরস্কার না শাস্তি? মুখ খুললেন সুকান্ত
West Bengal BJP: এদিন দিল্লিতে মোদির চা-চক্রে যোগ দেন সুকান্ত। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার খবরে সিলমোহর দিয়েছেন তিনি।

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপি-র। আর তার পরই কেন্দ্রে ডাক পড়ল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। বকাঝকার জন্য নয়, নরেন্দ্র মোদির সরকারে মন্ত্রী হওয়ার জন্য। রবিবার তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন মোদি। সেখানে আজ সুকান্তেরও শপথ নেওয়ার কথা। বঙ্গ বিজেপি-র সভাপতি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সুকান্তের এই উত্তরণ নিয়ে যদিও উঠছে প্রশ্ন। কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব আসলে পুরস্কার নাকি, বাংলায় একের পর এক নির্বাচনে বিজেপি-র বিপর্যয়ের পর, রাজ্যসভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে শাস্তিস্বরূপ মন্ত্রিত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। (West Bengal BJP)
এদিন দিল্লিতে মোদির চা-চক্রে যোগ দেন সুকান্ত। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার খবরে সিলমোহর দিয়েছেন তিনি। এই মন্ত্রিত্ব পুরস্কার না শাস্তি, তা নিয়েও নিজের মতামত জানালেন। (Modi Oath Ceremony)
প্রশ্ন: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি নাকি কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী, ব্যক্তিগত পছন্দ কী?
সুকান্ত: ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কোনও বিষয় নেই। সবকিছুই সাময়িক। চেয়ার কখনও পার্মানেন্ট হয় না। আমি তো গোড়া থেকেই বলে আসছি, আজ যে চেয়ারে বসছি, সারাজীবন সেই চেয়ারে থাকব না।
প্রশ্ন: কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিভাগ পছন্দ?
সুকান্ত: পছন্দ-অপছন্দের জায়গা নেই। দলের সঙ্গে, দলের আদর্শের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। দল যা বলবে, তা-ই করব। দুর্গ বাঁচাতে যেখানে প্রয়োজন পড়বে, সেখানেই লড়াই করতে হয় সৈনিককে। ডাঁয়ে অথবা বাঁয়ে, বেছে নেওয়ার জায়গা থাকে না। সেনাপতি যেখানে লড়তে বলবেন, সেখানেই লড়তে হবে সৈনিক হিসেবে। তাই নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ যেখানে বলবেন, সেখানেই লড়ব। ওয়াটার্লু, পলাশিতেও লড়তে পারি প্রয়োজনে।
প্রশ্ন: এই মন্ত্রিত্ব পুরস্কার না শাস্তি?
সুকান্ত: পুরস্কার বা শাস্তি, কোনওটারই গুরুত্ব নেই। নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয়েছে। পরম বৈভবশালী যে ভারত তৈরির বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি আমরা, তা এ জীবনে পূর্ণ হওয়ার কথাই নয়। কল প্রজন্মকে লড়াই করতে হবে জানি না। তাই পুরস্কার বা তিরস্কার বলে কিছু নেই।
প্রশ্ন: সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, কী ভূমিকা থাকবে? বাংলাকে কি আগের মতোই গুরুত্ব দেবেন?
সুকান্ত: রাজ্য অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। অবশ্যই নজর থাকবে। দল আমার পিছনে বিনিয়োগ করেছে। সাংসদ ছিলাম। তিন বছর রাজ্য সভাপতির পদ সামলেছি। স্বাভাবিক ভাবে যে পরিচিতি তৈরি হয়েছে, যে জনসমর্থন পেয়েছি, তাকে বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনেও কি দলকে চাগিয়ে তুলতে দেখা যাবে আপনাকে?
সুকান্ত: দল যেভাবে এগোতে বলবে, সেভাবেই এগোব। আমার নিজের এলাকা তো রয়েইছে, উত্তরবঙ্গে ভাল করেছে বিজেপি। কলকাতাতেও এগিয়েছি আমরা। দলের রেজিমেন্টের সৈনিক আমি। যা বলা হবে, তা-ই করব।
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত ভাবে কোন মন্ত্রক পছন্দ?
সুকান্ত: আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা থাকে না কোনও। নিজের জন্য সাংসদ হইনি। দলের অগণিত কর্মীর জন্য হয়েছি। দলের পছন্দই আমার পছন্দ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
