Rajatava Dutta: সরস্বতী পুজো মানেই পড়াশোনা থেকে ছুটি, মেয়েদের স্কুলে কার্ড দিতে যাওয়ার রোমাঞ্চ
Rajatava Dutta on Saraswati Puja: ছোটবেলার পুজো বলতেই প্রথম মনে পড়ে বাড়ির সরস্বতী পুজো। যদিও সেই স্মৃতি আবছা। রজতাভ বলছেন...

কলকাতা: সরস্বতী পুজোর স্মৃতি বলতে আবছা মনে পড়ে বাড়ির পুজো। আর তারপরে স্কুলের পুজোর দায়িত্ব। সরস্বতী পুজো মানেই যেন তাঁর কাছে প্রথম বড় হয়ে ওঠার স্বাদ, দায়িত্ব পাওয়ার স্বাদ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরস্বতী পুজোর অর্থগুলো বদলে গিয়েছে বটে, কিন্তু পুজোর সেই স্মৃতি মনে এখনও তরতাজা। সরস্বতী পুজোর সকালে এবিপি লাইভের সঙ্গে ছোটবেলার সরস্বতী পুজোর স্বাদ ভাগ করে নিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত (Rajatava Dutta)।
ছোটবেলার পুজো বলতেই প্রথম মনে পড়ে বাড়ির সরস্বতী পুজো। যদিও সেই স্মৃতি আবছা। রজতাভ বলছেন, 'বাড়ির পুজোর কথা মনে পড়লেই, মনে হয় আমি আর দাদা বাড়ির সরস্বতী পুজো করতাম। সেই সময়ে পুরোহিত নিয়ে আসা থেকে শুরু করে ছোট বড় অনেক দায়িত্বই থাকত আমাদের কাঁধে। তবে আনন্দের প্রথম ধাপ ছিল, ওই দিনটা পড়াশোনা করতে হবে না। বই খাতা দিয়ে একটা বেদী তৈরি করা হত। আগের দিন ঠাকুরের প্রতিমা কিনতে যাওয়া থেকে শুরু করে ভাসানের আগে খাগের কলমে 'ওঁ সরস্বত্যৈ নমোঃ' লেখা.. এ সবই তখন বাড়িতে হত। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে বাড়িতে আর পুজো হয় না। তবে স্কুলের পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকতাম। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া, একসঙ্গে স্কুল যাওয়া এই সব তো ছিলই।'
বারে বারে স্কুল বদলেছে। তবে পুজোর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করেছেন বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে। রজতাভ বলছেন, 'ক্লাস ১০ পর্যন্ত আমি ওই স্কুলে পড়েছি। আর স্কুলের পুজোর বেশিরভাগ দায়িত্বই তো পালন করে নবম আর দশম শ্রেণীরা। তখন শিক্ষকেরা আমাদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে দিতেন। একটা পুজোর যেমন বিভিন্ন দায়িত্ব থাকে, সেই মতোই তৈরি হত দল। এক একজনের এক একটা দায়িত্ব থাকত। শিক্ষকদের জহুরীর চোখ নিশ্চয়ই চিনে নিতেন কে কোনটা ভাল পারবে। তবে আমাদের যেন মনে হত আমরাই সবটা করছি। বাজার করা থেকে শুরু করে খাবার পরিবেশন, সবটাই করতাম নিজেদের হাতে। এখন বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলোয় এই চল প্রায় উঠেই গিয়েছে। আরও একটা স্মৃতি ভীষণ মনে পড়ে। আমাদের স্কুলে পুজো হয়ে যাওয়ার পরে সন্ধেবেলা একটা অনুষ্ঠান হত। বাড়িতে তেমন জলসা শুনতে যাওয়ার চল ছিল না। তাই স্কুলের ওই অনুষ্ঠানটাই দারুণ লাগত। আর তখন স্কুল থেকে একা বাড়ি ফেরা মানেই একটা স্বাধীনতার স্বাদ। মনে আছে, প্রথমবার স্কুল থেকে সন্ধেবেলা ফেরার সময়, পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান শুনতে গিয়ে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাতে মা ভীষণ বকাবকি করেন।'
সরস্বতী পুজো মানেই যেমন পড়াশোনার ছুটি, তেমন তো প্রেমও.. স্মৃতিতে ডুব দিয়ে রজতাভ বললেন, 'সরস্বতী পুজোকে এখন যেমন বলা হয় বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে, তখনও বলা হত। তবে আমার সেই সময়ে কোনও বান্ধবী ছিল না। দূর থেকেই দেখতাম, বন্ধুরা ডেটে যাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, আমাদের ছিল বয়েজ স্কুল। মেয়েদের স্কুলে সরস্বতী পুজোয় নিমন্ত্রণ পত্র দিতে যাওয়াটা একটা অন্যরকম রোমাঞ্চ।'
আরও পড়ুন: Paran Bandopadhyay: সরস্বতী আরাধনা মানে কপি আর বাঁশ চুরি, প্রেমিকার পাড়ায় পুজোর আয়োজন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
