Dehydration: ডিহাইড্রেশন রুখতে এড়িয়ে চলুন এই অভ্যাস
Health Tips: গরমের সময় নানা কারণে দেখা যায় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণেই এটি হয়। যেগুলি বন্ধ করলে সহজেই মুক্তি মিলবে।
কলকাতা: গরমের সময় শরীরে জলের প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নানা কারণে এই সময়েই দেখা যায় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। মূলত দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণেই এটি হয়। যেগুলি খেয়াল রাখলে সহজেই মুক্তি মিলবে ডিহাইড্রেশন থেকে।
দিনভর জলে টান:
সারাদিন তো বটেই, বিশেষ করে গরম কালে পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন। ঘুমনোর ঠিক আগে বেশি জল না খেলেও চলে। কিন্তু সকাল থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল শরীরে যাওয়া উচিত। তা না হলেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। সমস্য়া এড়াতে দিনভর প্রয়োজনে অ্য়ালার্ম সেট করে জল, ফলের রস খাওয়া উচিত।
ঘুমনোর আগে মদ্যপান:
যে কোনও ঘরনের অ্যালকোহল শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরি করে। অনেকের শোয়ার আগে ওয়াইন বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেটা আদতে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করে। প্রতিদিন এমন অভ্যাস থাকলে ত্বকের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা:
ঘুমনোর সময় ঘর বেশি গরম থাকলে অনেক সময় ঘুমের মধ্যেই ঘাম হয়। আমাদের দেশে গরমে এই সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
নুন ও কফিজাতীয় খাবার:
রাতে ঘুমনোর আগে কফি খাওয়া উচিত নয়। রাত জেগে কাজ বা পড়াশোনা করার সময় অনেকে ঘুম এড়াতে কফি খান। সেটা তখনকার মতো সাহায্য করলেও আদতে পরে ঘুম নিয়ে সমস্য়া হয়। শরীরে জলের অভাবও ঘটায়। ক্যাফাইনের জন্যই এটি হয়ে থাকে। এছাড়াও কাজ, পড়াশোনা বা সিনেমা-সিরিজ দেখার সময় খিদে পেলে নোনতা স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। রাতে নুনের আধিক্য রয়েছে এমন খাবার খেলেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে নুন ছাড়া বাদাম, নুনহীন বিস্কিট বা প্রয়োজনে টোস্ট খেয়ে খিদে মেটানো যায়।
প্রয়োজনীয় পরিমাণে ঘুম:
ঠিকমতো ঘুম না হলে, হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলেও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। ঘুম ভাল না হলে দেহে নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সেই কারণে দেহে জলীয় পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সমস্যা হয়।
ওষুধের প্রভাব:
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট করে। রাতে খেতে হয় এমন কিছু ওষুধে এমনটা হতে পারে। খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
খুব বেশি উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা:
উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস নানা রোগ ডেকে আনে। ডিহাইড্রেশনের পিছনেও রয়েছে সেই কারণ। ঘুমনোর আগে কিছুক্ষণ মেডিটেশন বা প্রাণায়াম করলে ভাল ফল দেবে।
এছাড়াও, ত্বকের প্রয়োজনে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাইড্রেশন লোশন ব্য়বহার করা যায়। এক এখ ব্যক্তির ত্বকের প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে এক একরকম ক্রিম ব্যবহার করতে হয়।
আরও পড়ুন: গরমেও অ্যাজমার ঝুঁকি! বাঁচতে হবে ধোঁয়া থেকে
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )