(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bengali Celebrities Holi: গোটা গায়ে রং, তাই নিয়েই সিনেমার প্রোমোশনে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা
রাত পোহালেই রঙের উৎসব। ছোটবেলায় রঙ খেলার সবচেয়ে বেশি কোন স্মৃতিটা মনে পড়ে? এবিপি লাইভে দোলের স্মৃতিচারণে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা: ছোটবেলা মানেই ভিড় করে আসা একরাশ রঙিন স্মৃতি। আর সেই স্মৃতিতে যদি মিশে যায় দোলের রং, তবে তা আরও বেশি রঙিন হয়ে ওঠে বই কী! রাত পোহালেই রঙের উৎসব। দোল বললেই মনে এসে কড়া নাড়ে কোন মধুর স্মৃতি? এবিপি লাইভে দোলের স্মৃতিচারণে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।
তিনি স্টারকিড। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের পরিচিতি তখন নেহাৎ কম ছিল না। কিন্তু ছোটবেলার রঙ খেলার স্মৃতি বাকি ৫টা সাধারণ মেয়ের মতোই ছিল স্বস্তিকার। নায়িকা বলছেন, 'যখন খুব ছোট ছিলাম, বাবা বাড়ি থেকে বেরোতে দিতেন না। মনে করা হত, ওই দিনটা খুব একটা নিরাপদ নয়। আরও একটু বড় হতে বাড়ির ছাদে দোল খেলেছি অনেক। রং-আবীর দুইই। বন্ধুদের বাড়িতেও যেতাম রঙ খেলতে। তাছাড়া বাড়ির উঠোন, গ্যারাজ তো ছিলোই। বাঁদুরে রং মাখলে সেটা এক সপ্তাহের আগে কিছুতেই উঠত না। তবে একটা স্মৃতি খুব মনে পড়ে। সেটা ছোটবেলার না অবশ্য, রীতিমতো বড় হয়ে। এক বছর দোলের পরের দিন আমার কোনও একটা ছবির প্রেস মিট ছিল। পাঁচতারা ব্যাঙ্কোয়েটে আয়োজন। আর তার ঠিক আগের দিন এমনই মরণের দোল খেলেছিলাম, যে গা থেকে রঙই উঠল না। মুখ, কপাল, থুতনি, গোটা গা লাল। তাই নিয়েই প্রেস মিটে গেলাম। ওইরকম লাল রঙের সঙ্গে ঠিক কী পরলে একটু কম খারাপ দেখতে লাগবে তেমন পোশাক বাছলাম। লোকজন বেশিই তাকাল আমার দিকে। অনেকে হয়ত অনেকরকম ভেবেছিল আমার রং খেলা নিয়ে। কী করব রং ওঠেনি তো! আর কত ঘষব! চামড়া উঠে যেত তো ঘষা মাজা করতে করতে...'
পাকা কুল ছুড়ে দোল খেলতেন ঋদ্ধিমান, সঙ্গে দুধ-সাবান জল!
দোল খেলার স্মৃতি নয়, এই দিনটায় নিজের ছোটবেলার দুষ্টুমির কথা মনে পড়ে যায় অনন্যার। হাসতে হাসতে বললেন, ' আমি সম্ভবত তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি। আমার বাবার খুব শখ হল, আমি দূরদর্শনে গান গাইব। আমি তখন গান শিখতাম। সেইমতো সব ব্যবস্থা হল। অডিশনের দিনও পাকা হল। সেই দিনটা পড়ল দোলের পরের দিন। দোলের দিন যথারীতি তুমুল রঙ খেলা চলল। পরের দিন ঠাণ্ডা লেগে গলা ধরে গেল। আওয়াজ বেরোচ্ছে না। ব্যাস, গান গাওয়া বাতিল।'