Odisha Covid Outbreak: করোনা মোকাবিলায় ওড়িশায় ১০ তারিখ থেকে বন্ধ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়
Coronavirus Update: দেশের দ্বিতীয় ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে ওড়িশায়। এই পরিস্থিতিতে কড়াকড়ি শুরু করল রাজ্য প্রশাসন। আজ থেকেই জারি নাইট কার্ফু। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্য়ন্ত জারি বিধিনিষেধ।
ভুবনেশ্বর: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার। ১০ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ এবং রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করা হচ্ছে না।
ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করা হলেও, অফলাইনে যে পরীক্ষাগুলি চলছে, সেগুলি চলবে। পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে না।
ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আজ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব সরকারি ও সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে।
রাজস্থানের পর ওড়িশায় দেশের দ্বিতীয় ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার। গতকালই ভুবনেশ্বর-কটকের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, আজ থেকে ওড়িশা সরকার নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাত ৯টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জারি থাকবে কড়া বিধিনিষেধ।
ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যে যাত্রীরা যাবেন-আসবেন, তাঁদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
এদিকে, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১০০ জন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০২ জনের।
গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৯২৮। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২৫। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৮৬ জন। এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে শুক্রবার পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩৭৭ জন। মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি ৮৭৬ জন আক্রান্ত। দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই একলাফে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল এক লক্ষের গণ্ডি। আগামী দিনগুলিতে এই সংক্রমণ কী চেহারা নেবে তা নিয়ে আশঙ্কায় চিকিৎসকরা।