Bird Flu Death: বার্ড ফ্লুতে ১১ বছরের শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ; দেখুন-কী এই ভাইরাস, উপসর্গ ও সতর্কতা
এর সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত পাখি থেকে মানুষের শরীরে দেখা গিয়েছে। কিন্তু মানুষ থেকে মানুষে এই ভাইরাস সংক্রমণের কোনও ঘটনা এখনও সামনে আসেনি।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট চলছে। এরইমধ্যে আরও একটি উদ্বেগজনক খবর সামনে এসেছে। দিল্লির এইমস হাসপাতালে অ্যাভিয়ান এনফ্লুয়েঞ্জা H5N1 (বার্ড ফ্লু) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এই প্রথম বার্ড ফ্লু আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যু হল। দিল্লির এইমসে ১১ বছরের এক শিশুর বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটল। রোগীর মৃত্যুর পর তার সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
বার্ড ফ্লু নিয়ে এতদিন স্বস্তি ছিল যে, দেশে এই রোগে এখনও কারুর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু ১১ বছরের শিশুর মৃত্যুর খবর কপালে উদ্বেগের ভাঁজ ফেলেছে। চিন্তা বেড়েছে সরকার ও সাধারণ মানুষের। চলতি বছরের শুরুর দিকে, দেশের বেশ কিছু রাজ্যে পাখিদের মৃত্যুর পর সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
পাখি থেকে কীভাবে মানুষে ছড়ায় বার্ড ফ্লু সংক্রমণ?
বার্ড ফ্লু আক্রান্ত কোনও জীবন্ত বা মৃত পাখির সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। পাখির লালা ও বিষ্ঠায় এই ভাইরাস পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে বাতাস বাহিত হয়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কোনও মানুষ আক্রান্ত পাখিকে স্পর্শ করলে এবং তারপর চোখ, নাক, মুখে হাত দিলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে।
এই ভাবে কোনও সুস্থ পাখিও যদি যেখানে ভাইরাস রয়েছে, সেখানে গেলে, সংক্রমণ ঘটতে পারে। কোনও পাখি যেমন হাঁস বা মুরগী ডানা ঝাপটালে এই ভাইরাস হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরপর নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ভাইরাস নিয়ে স্বস্তির খবর এই যে, এর সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত পাখি থেকে মানুষের শরীরে দেখা গিয়েছে। কিন্তু মানুষ থেকে মানুষে এই ভাইরাস সংক্রমণের কোনও ঘটনা এখনও সামনে আসেনি।এই পরিস্থিতিতে যাঁরা পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করেন বা পাখিদের সরাসরি সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের অত্যধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বার্ড ফ্লু-র উপসর্গ
বার্ড ফ্লু-র প্রধান উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে কফ, ডায়েরিয়া, জ্বর, শ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি, নিউমোনিয়া, গলা ব্য়থা, সর্দি,চোখের সংক্রমণের মতো সমস্যা। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে অন্যদের সংস্পর্শও এড়িয়ে চলতে হবে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
হাত বারেবারেই সাবান-জল দিয়ে ধুতে হবে। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। হাত ধোয়ার সুযোগ না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সংক্রমিত পোল্ট্রি ফার্ম এড়িয়ে চলতে হবে। সেখানে কর্মরতদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। পোল্ট্রি ফার্মের কর্মী ও সেখানে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের পিপিই পরা দরকার। পরতে হবে ডিসপোজেবল গ্লাভস। ব্যবহারের পর তা নষ্ট করে ফেলতে হবে।
পুরো হাত ঢাকা জামা পরতে হবে। জুতোকেই ডিসইনফেক্ট করতে হবে। হাঁচি বা কাশির সময় ভালো করে নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। অসুস্থ হলে জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।