(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Hamas Conflict Israel: ১১ দিন লড়াইয়ের পর যুদ্ধবিরতিতে সহমত ইজরায়েল ও হামাস, গাজায় উচ্ছ্বাস
দুই তিক্ত প্রতিপক্ষের আগের তিনটি সংঘর্ষের মতোই এবারের লড়াইও অমীমাংসিতই রয়ে গিয়েছে। ইজরায়েল হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছে। যদিও গাজা থেকে অবিরাম রকেট হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের।
গাজা ও জেরুজালেম: যুদ্ধবিরতিতে সহমত হল ইজরায়েল ও হামাস। এরফলে ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান হল। এই সংঘর্ষে গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে ইজরায়েলেও জনজীবন কার্যত থমকে গিয়েছিল। ১১ দিনের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুশোর বেশি মানুষের। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত দুটো থেকে এই সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হয়েছে। এই খবরে গাজার রাস্তাঘাটগুলিতে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সাধারণ মানুষ। ঘরবাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে লোকজন। অনেকেই বাড়ির বারান্দা থেকেও আনন্দধ্বনি ভেসে আসে।
দুই তিক্ত প্রতিপক্ষের আগের তিনটি সংঘর্ষের মতোই এবারের লড়াইও অমীমাংসিতই রয়ে গিয়েছে। ইজরায়েল হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছে। যদিও গাজা থেকে অবিরাম রকেট হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইজরায়েলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেহানিয়াহু। কট্টরপন্থী, দক্ষিনপন্থীরা অপারেশন খুব দ্রুত শেষ করার অভিযোগ তুলেছেন। ইজরায়েলের শত্রু জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে তাদেরই জয় হয়েছে বলে দাবি করেছে। যদিও তাদের সামনে ইতিমধ্যেই দারিদ্র ও কর্মসংস্থানের অভাবের সমস্যায় জর্জরিত অঞ্চলের পুণগর্ঠন ও করোনাভাইরাস মোকাবিলার মধ্যে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, যে তাঁর নিরাপত্তা ক্যাবিনেট সর্বসম্মতভাবে মিশরের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করছে। এর আগে এই প্রস্তাব গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছিলেন ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ও অন্যান্য পদস্থ নিরাপত্তা আধিকারিক।
এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক অভিযানে তাৎপর্য্যপূর্ণ সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সাফল্যগুলির কয়েকটি নজিরবিহীন বলেও জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে হামাসকে পরোক্ষে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে বলেছেন যে, বাস্তব পরিস্থিতি ভবিষ্যত পদক্ষেপ নির্ধারন করবে।
জেরুজালেমকে নিশানা করে হামাসের দূরপাল্লার রকেট নিক্ষেপের পর গত ১০ মে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। আল-আসকা মসজিদ চত্বরে প্যালেস্তিনীয় বিক্ষোভকারী ও ইজরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই রকেট হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকায় প্যালেস্তিনীয়দের উৎখাতের চেষ্টা উত্তেজনার তৈরি করেছিল। জেরুজালেমের ওপর দাবি রয়েছে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের সংঘাতের কেন্দ্রে। অতীতেও একাধিকবার এই দাবি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুপক্ষ।