Jammu Kashmir News: বিস্ফোরণের ছক বানচাল জম্মুর নাগরোটায়
India News:জম্মুর নাগরোটায় IED বিস্ফোরণের ছক বানচাল। সিধরা-নারওয়াল হাইওয়েতে টিফিন বক্সের মধ্যে মেলে টাইমার লাগানো বিস্ফোরক
নয়াদিল্লি: জম্মুর নাগরোটায় IED বিস্ফোরণের (Jammu Attack Plot Foiled) ছক বানচাল। সিধরা-নারওয়াল হাইওয়েতে (Jammu Kashmir National Highway) টিফিন বক্সের মধ্যে মেলে টাইমার লাগানো বিস্ফোরক। IED নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
কী জানা গেল?
শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে। এই মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে উৎসবের মেজাজ। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর সিধরা বাইপাসে টিফিন বক্সের মধ্যে মেলে টাইমার লাগানো বিস্ফোরক মেলার ঘটনায় হইচই শুরু হয়ে যায়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক বর্ষীয়ান আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পর পরই বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে নিয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছয়। আইইডি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয়ও করা হয়েছে। তবে সকলের আগে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। এসবেরই শুরু শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। পুলিশের কাছে খবর আসে, জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর সিধরা বাইপাসে জম্মুতে একটি সন্দেহজনক বস্তু পড়ে রয়েছে। তার পরই পুলিশ কুকুর-সহ বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড পৌঁছে যায় সেখানে। প্রায় ২ কিলোগ্রাম ওজনের টাইমার লাগানো বিস্ফোরকের খোঁজ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সময়মতো বিস্ফোরকের হদিস পেয়ে যাওয়ায় বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছে। এর নেপথ্যে যারা, তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ।
পুঞ্চে অভিযান...
এদিকে শনিবারই সন্ত্রাসবাদী মামলায় জড়িত সন্দেহে পুঞ্চে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। মেন্ধর সাব ডিভিশনের কানুইয়ান গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ হাফিজের বাড়িতে অভিযান চলে সে দিন ভোর ৪টে নাগাদ। তবে সূত্রের খবর, যখন অভিযান চলেছিল তখন বাড়িতে ছিলেন না মহম্মদ হাফিজ। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই ফের রক্তাক্ত হয়েছিল উপত্যকা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে শহিদ হয়েছিল সেনা ও পুলিশের তিন আধিকারিক। তবে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা বা হিজবুল মুজাহিদিনের মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন নয়, সেই হামলার নেপথ্যে ছিল মাত্র চার বছর আগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা দ্য রেসিসট্যান্স ফোর্স। সংগঠনটি গড়ে ওঠার পর থেকে এতদিন মূলত কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরই নিশানা করে এসেছে তারা। এবার সরাসরি নিরাপত্তাবাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়াল। আর তাতেই ফের রক্তাক্ত হল উপত্যকা। ২০১৯ সালে প্রতিরোধ সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠে TRF. তার পর থেকে গত চার বছরেই একাধিক হামলার নেপথ্যে তাদের সংযোগ উঠে এসেছে, বিশেষ করে উপত্যকার সংখ্যালঘু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বেছে বেছে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে। চলতি বছরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (UAPA) TRF-কে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা এবং পুলিশের মাথাব্যথার প্রধান কারণ এই TRF.
আরও পড়ুন:শ্যুটিংয়ে শুধুই খিচুড়ি খান, শটের মাঝেই পারেন ঘুমোতে, সিনেমার ফ্লোরে কেমন পঙ্কজ ত্রিপাঠী?