কোভিডকে বুড়ো আঙুল, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পর্যটন কেন্দ্রে অসচেতনতার ছবি, সতর্ক করল কেন্দ্র
কোভিড বিধি আমান্য করা নিয়ে এবার সতর্ক করল কেন্দ্র। জানিয়ে দিল করোনা বিধি মানা বাধ্যতামূলক।
নয়াদিল্লি: কোভিড বিধির তোয়াক্কা নয়। হিমাচল প্রদেশ থেকে উত্তরাখণ্ড, দেশের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে নেমেছে সাধারণ মানুষের ঢল। আর সেখানেই দেখা গেল অসচেতনতার ছবি। কারোর মুখে নেই মাস্ক, শারীরিক দূরত্ব বিধিও উধাও। দেশে ধীরে ধীরে কমছে দৈনিক সংক্রমণ। তবে কাটেনি উদ্বেগ। কোভিড বিধি আমান্য করা নিয়ে এবার সতর্ক করল কেন্দ্র। জানিয়ে দিল করোনা বিধি মানা বাধ্যতামূলক।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে ভি কে পাল বলেন, আমরা বিধি নিষধ থেকে সরে আসতে পারব না। মহামারীর শেষ না হওয়া পর্যন্ত করোনা বিধি চলতেই হবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বিধি না মানা, শারীরিক দূরত্ব না মানা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, এখনও দ্বিতীয় ঢেউ কাটেনি। ফলে করোনা বিধির সঙ্গে আপস করার কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের কেম্পটি ফলস-এ পর্যটকদের স্নানের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিপুল সংখ্যক জমায়েত। উধাও হয়েছে করোনা বিধি। কারোর মুখেই নেই মাস্ক। সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়, ভাইরাসকে কি সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে? ভি কে পাল বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের এই ধরনের আচরণের জেরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। জমায়েতের ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ে। তাই পর্যটকদের মনে রাখতে হবে কোভিড বিধি না মানলে ভাইারাস দ্রুত ছড়াবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এদিন বলা হয়, যে কোনও পরিস্থিতিতেই মানতে হবে করোনা সংক্রমণ। এভাবে শুধু নিজের ক্ষতি করাই নয়, উপরুন্ত আশপাশের মানুষদের বিপদ ডাকা হচ্ছে। যা করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইকে আরও অনেকটা পিছিয়ে দেবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশের দৈনিক সংক্রমণের মধ্যে অর্ধেকই মহারাষ্ট্র এবং কেরলের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ জুলাই পর্যন্ত দেশের ৬৬ জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ। ৮০ শতাংশ দৈনিক সংক্রমণের হদিশ মিলেছে ৯০ জেলা থেকে।