India-Canada Conflict: তদন্তে সহযোগিতা করেনি ভারত, দাবি আমেরিকার, কানাডার সঙ্গে সংঘাতে অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির?
US on India-Canada Conflict: খালিস্তানপন্থী হরদীপের মৃত্যু ঘিরে ভারত এবং কানাডার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে টানাপোড়েন চলছে।

নয়াদিল্লি: কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাত চরম আকার ধারণ করেছে। সেই আবহে এবার ভারতের সমালোচনা করল আমেরিকা। খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার তদন্তে ভারতের তরফে সহযোগিতা মেলেনি বলে মন্তব্য করল তারা। আমেরিকার এই মন্তব্যে আন্তর্জাতিক স্তরে দিল্লির অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।(India-Canada Conflict)
খালিস্তানপন্থী হরদীপের মৃত্যু ঘিরে ভারত এবং কানাডার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি সেই সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। তাদের দাবি, হরদীপকে খুন করতে লরেন্স বিশ্নোইয়ের বিশ্নোই গ্যাং-কে ব্যবহার করেছে ভারত। ভারতীয় এজেন্টদের নির্দেশে তারাই হরদীপকে খুন করেছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুনের কথা স্বীকার করেছে বিশ্নোই গ্যাং। তাই কানাডার এই দাবিতে শোরগোল পড়ে যায়। (US on India-Canada Conflict)
সেই আবহেই আমেরিকার বিদেশ বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এই মন্তব্য করেছেন। ভারত যদিও কানাডার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে ম্যাথু বলেন, "কানাডা যে অভিযোগ করেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আমরা চেয়েছিলাম, ভারত তদন্তে কানাডার সঙ্গে সহযোগিতা করুক। বলা বাহুল্য, তারা সেই পন্থা নেয়নি।"
ভারত যদিও গোড়া থেকেই কানাডার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। নির্বাচনের আগে জন সমর্থনে ভাঁটা দেখেই ট্রুডো সেখানে বসবাসকারী শিখদের প্রভাবিত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ দিল্লির। তাই বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, "ভারতের প্রতি ট্রুডোর বৈরিতা সর্বজনবিদিত। ২০১৮ সালে ওঁর ভারতসফরও ভোটব্যাঙ্কের জন্যই ছিল, যা পরবর্তীতে অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে ওঠে। প্রকাশ্যে যাঁরা ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাকামী এবং চরমপন্থীদের সঙ্গে সংযোগস্থাপন করেছেন, তাঁদের নিজের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন উনি।"
তবে এবিষয়ে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নিউজিল্যান্ডও। নিউজিল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জানিয়েছেন, কানাডা যে অভিযোগ করছে, তা প্রমাণিত হলে, উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াও কানাডার পাশে দাঁড়িয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করতে ভারতকে আর্জি জানিয়েছে ব্রিটেন।
ভারত যদিও কানাডাকে নিয়ে সুর নরম করছে না। এর আগেও, ভারত বিরোধী অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কানাডার দিকে আঙুল তুলেছে দিল্লি। এ বছর মে মাসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কানাডার অভিবাসী নীতিরও সমালোচনা করেন। পঞ্জাবে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের কানাডা স্বাগত জানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। বার বার সেই নিয়ে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কানাডা দৃষ্টিপাত করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
