ATM Fraud: অভিনব কায়দায় প্রতারণা; নিউ মার্কেট, যাদবপুর, কাশীপুর এলাকায় বিভিন্ন এটিএম থেকে গায়েব প্রায় ৪০ লক্ষ
এটিএম না ভেঙেই লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ।
কলকাতা: ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক। আপাতত এই অভিনব কৌশলেই এটিএম থেকে টাকা লুঠ করছে প্রতারকরা। দিল্লির পর এবার কলকাতাতেও একই কায়দায় টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেশিনের ভিতরে যন্ত্র বসিয়ে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। একাধিক এটিএমে এই ধরনের কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। চলতি মাসের ১৪ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে গত ৯ দিনে কলকাতার নিউ মার্কেট, যাদবপুর ও কাশীপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন এটিএম থেকে ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এভাবেই গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তার সূত্র সন্ধান করছে পুলিশ।
অক্ষত এটিএম। বাইরে একটা আঁচড়ও লাগেনি, অথচ ভিতর থেকে উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা। একের পর এক ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। দিল্লির পর এবার অভিনব কায়দায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটল খাস কলকাতায়। অভিযোগ, ১৪ থেকে ২২মে-র মধ্যে মাত্র ৯ দিনের মাথায় শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার। কিন্তু কীভাবে চোখের নিমেশে ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে হানা দিচ্ছে জালিয়াতরা?
পুলিশ ও বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরণের জালিয়াতিতে ব্যবহার হচ্ছে ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক পদ্ধতি। কী এই পদ্ধতি? দু’টি কম্পিউটারের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বা লিঙ্ক থাকে, অন্য কম্পিউটার থেকে তার মধ্যে ঢুকে পড়াকেই 'ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক' বলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এটিএমের ভিতরে বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সেই যন্ত্রটিই তখন হয়ে উঠছে ব্যাঙ্কের হোস্ট। তার ফলে খুব সহজেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। সেই মুহূর্তে সেই টাকা তোলার কতা জানতেই পারছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
এটিএমের ওপরের অংশে হুড খোলা হচ্ছে, এটিএমের ওপরে কেবল থাকে তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এর সঙ্গে ম্যান ইন দ্যা মিডল অ্যাটাক ডিভাইস যুক্ত করা হচ্ছে, ব্যাঙ্কের অজান্তে টাকা চলে যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এভাবে নিউমার্কেট এলাকার এটিএম থেকে গায়েব হয়েছে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। যাদবপুরের এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা
ও কাশীপুরের ব্যাঙ্ক থেকে ৭ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই নিজেদের পকেটস্থ করেছে জালিয়াতরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটিএম পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরাই এই জালিয়াতি ঘটাচ্ছেন।
কার্যত লকডাউনে রাস্তাঘাট ফাঁকা। পাশাপাশি বেশিরভাগ এটিএমই রক্ষীবিহীন। এই সুযোগে প্রতারণার ফাঁদ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে শহরের এটিএমগুলির নিরাপত্তা নিয়ে। স্থানীয় থানা, লালবাজার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা একযোগে ঘটনার তদন্ত নেমেছে। চক্রের জাল আর কতদূর বিস্তৃত, তার সূত্র সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।