TMC MP Mahua Moitra:মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে সোমবার লোকসভায় রিপোর্ট জমা দেবে লোকসভার এথিক্স কমিটি
Cash For Query Case:অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন বা 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' কাণ্ডে অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বহিষ্কারের সুপারিশ সংক্রান্ত সংসদীয় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় জমা পড়তে পারে আগামী সোমবার।
কলকাতা: অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন বা 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' কাণ্ডে অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (TMC MP Mahua Moitra) বহিষ্কারের (Lok Sabha Ethics Panel Report On Expulsion Of Mahua Moitra) সুপারিশ সংক্রান্ত সংসদীয় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট (Lok Sabha Ethics Panel Report) লোকসভায় জমা পড়তে পারে আগামী সোমবার। সূত্রের খবর, লোকসভার সচিবালয়ে যে 'অ্যাজেন্ডা পেপার' বিতরণ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৪ ডিসেম্বর কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার সোনকার এই নিয়ে ফার্স্ট রিপোর্ট জমা দিতে পারেন। প্রসঙ্গত, লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা সোমবার থেকে। চলবে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রেক্ষাপট...
গত ৯ নভেম্বর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিলে সিলমোহর দিয়েছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। কমিটির ৬ জন সদস্য মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের পক্ষে ভোট দেন। ছয়-চার ভোটে প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। তাঁকে যে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে, সে কথা জানিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মহুয়া। নীতি কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার আগে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে জানান, আদানি এবং মোদির দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। শীতকালীন অধিবেশনে হাতে আরও অস্ত্র আছে তাঁদের। সেকথা বিলক্ষণ জানে মোদি সরকার। তাই তাঁকে সংসদে ঢুকতে না দেওয়াই লক্ষ্য বিজেপি-র।
অন্য দিকে, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীতি কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকর বলেছিলেন, "মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে নীতি কমিটি। আজকের বৈঠকে খসড়া প্রস্তুত করা হয়। ছয় সদস্য তাতে সমর্থন জানান, বিরোধিতা করেন চার সাংসদ। বিশদ রিপোর্ট আগামী কাল স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। এর পর যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, স্পিকার করবেন।"
বিরোধিতা...
নভেম্বরের বৈঠকের পরই নীতি কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ, তথা নীতি কমিটির সদস্য দানিশ আলি। বলেন, "রিপোর্টটা গোটা পড়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু দেশে দু'রকমের আইন চলতে পারে না। লাগাতার ধারা ২৭৫ নলঙ্ঘন করে চলেছেন নীতি কমিটির চেয়ারপার্সন। আমরা শুধু একটাই কথা বলতে পারি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি, আগামী দিনেও তাই করব। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।" প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর প্রশ্ন, তদন্ত করতে হবে, অর্থাৎ কোনও প্রমাণ মেলনি এখনও পর্যন্ত। তা হলে আগেভাগে মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের সুপারিশ করা হল কোন যুক্তিতে? সোমবারের পর এই নিয়ে কি নতুন কিছু হতে পারে? উত্তরের জন্য আর মোটে কয়েকদিনের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:মমতাই প্রথম ও শেষ কথা, তাঁর ছবি ছিল, এটাই যথেষ্ট: সৌগত রায়