Manipur Situation: মণিপুরে হিংসা অব্যাহত, শিশু-সহ ছ'জনের দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় কুকি উগ্রপন্থীরা
Manipur Violence: বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তপ্ত মণিপুরের জিরিবাম জেল। নতুন করে গোলাগুলি বর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে সেখান থেকে।
ইম্ফল: নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। অশান্তির আগুন জ্বলছে মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায়। সেই আবহে এবার ছ'-ছ'টি দেহ উদ্ধার হল মণিপুরে। পাঁচ দিন আগে তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করা হয়। ওই তিন শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ছিল আট মাস। সন্দেহভাজন কুকি উগ্রপন্থীরাই ওই অপরাধ ঘটায় বলে জানা যায়। যাঁদের অপরহরণ করা হয়, সকলে মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। (Manipur Situation)
বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তপ্ত মণিপুরের জিরিবাম জেল। নতুন করে গোলাগুলি বর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে সেখান থেকে। সেই আবহেই ক্রাণশিবির থেকে মেইতেই সম্প্রদায়ের পাঁচ দিন আগে তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করা হয়। ওই ছ'জনেরই দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার রাতে সীমান্ত সংলগ্ন অসমের শিলচরের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেহগুলি। (Manipur Violence)
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একটি সূত্র মারফত খবর আসে, রাতে হাসপাতালে তিন মহিলার দেহ পৌঁছয়। তাঁরা সকলেই প্রাপ্ত বয়স্ক। দেহগুলি ফুলে ছিল। পচতে শুরু করেছিল। শনিবার দুপুর পর্যন্ত আরও তিনটি দেহ উদ্ধার হয়, আট মাসের শিশু-সহ বাকি দুই শিশুর। তাদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এখনও মর্গে এসে পৌঁছয়নি দেহগুলি।
মণিপুরে সরকারি চাকুরিরত লাইশ্রম হিরোজিৎ জানান, তাঁর দুই সন্তান, স্ত্রী, শাশুড়ি এবং শ্যালিকাকে পণবন্দি করেছিল উগ্রপন্থীরা। সেই থেকে কারও খোঁজ নেই। এখনও মৃতদেহগুলি দেখতে পাননি তিনি। লাইশ্রমও মেইতেই সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, সশস্ত্র লোকজন নৌকায় চাপিয়ে তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে যায়। এক বন্ধু নিজের চোখে তা দেখেছেন। বোরোবেকরায় যখন গুলি চলছিল, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছিল একের পর এক বাড়িতে স্ত্রী তাঁকে ফোনও করেন। কিন্তু ফোন কেটে যায়। তার পর আর ফোনে স্ত্রীকে পাননি হিরোজিৎ। একটা সময় পর বন্ধ হয়ে যায় ফোন। জিরিবামের বোরোবেকরায় সিআরপিএফ শিবিরের থেকে বরাক নদীর দূরত্ব এক কিলোমিটার।
জিরিবাম থেকে শিলচরের মর্গের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার প্রায়। শুক্রবার সন্ধে ৭টা নাগাদ সেখানে তিনটি দেহ পৌঁছয় প্রথমে। জিরিবামে পরিকাঠামো নেই বলেই সেখানে ময়নাতদন্ত হয়। সম্প্রতি জিরিবামের ত্রাণশিবির থেকে মহিলা এবং শিশুদের উপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পণবন্দি করে রাখা হয়। কুকি উগ্রপন্থীদের দিকেই আঙুল ওঠে সেই ঘটনায়। স্থানীয়দের দাবি, সিআরপিএফ বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় চলাকালীনই ত্রাণশিবিরে চড়াও হয় একটি দল। এনকাউন্টারে ১০ কুকি উগ্রপন্থীর মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। যদিও কুকিদের দাবি, উগ্রপন্থী নয়, মৃতেরা স্বেচ্ছাসেবক। যদিও সেই দাবি খণ্ডন করেছে সিআরপিএফ। মৃতদের কাছ থেকে একে, ইনসাস রাইফেল উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। এমনকি রকেট থেকে ছোড়ার গ্রেনেডও মিলেছে বলে খবর।