Manmohan Singh: 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নয়, পরিবারের মানুষকে হারালাম', মনমোহন সিংহের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দীপা, প্রদীপ, অধীর
Manmohan Singh Death: ১৯৭১ সালে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকের অর্থনৈতিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরের বছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন মনমোহন সিংহ।
কলকাতা: থামল দীর্ঘ এক সফর। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকাই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তড়িঘড়ি দিল্লির AIIMS-এ ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি ICU-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চলে গেলেন মনমোহন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রয়াণে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য্য বলছেন, 'সত্যিই এটা ভীষণ দুঃখের। ভীষণ খারাপ লাগছে। এত মৃদুভাষী, স্পষ্টবক্তা, সৎ, নিষ্ঠাবান মানুষ আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে খুব কম দেখেছি। ওঁর ব্যক্তিত্ব কখনোই আমরা বাইরে থেকে বুঝতে পারতাম না। অর্থনীতির ওপর ওঁর গভীরতা আজও আমার স্পষ্ট মনে রয়েছে। উনি রাজ্যসভায় ঢুকে ৫ মিনিট একটি কথা বলেছিলেন। উনি বলেছিলেন ভারতবর্ষের জিডিটি গ্রোথ ২ পার্সেন্ট কমে যাবে। অবাক হয়ে গিয়েছিল সারা বিশ্বের মানুষ, কীভাবে তিনি এই নিখুঁত অঙ্কটা বললেন। সত্যি সত্যিই কমে গিয়েছিল। জাপান তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সম্মান দিয়েছিল। কিন্তু ভারতবর্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দলের থেকে ওঁর যে সম্মান প্রাপ্য ছিল সেটি উনি পাননি। এটা দুঃখের হলেও যন্ত্রণা নিয়েই এটা স্বীকার করতে হবে। আমরা চাই ভারতবর্ষে এমন প্রধানমন্ত্রী হোন যিনি ভারতবর্ষকে ভালবাসবেন। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে একত্রিত করে চলবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।'
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলছেন, 'ওঁর নেতৃত্বে কখনও রেলে কাস্টমসে ছিলাম,তাঁর অধীনে আমরা পার্লামেন্ট দেখেছি। আমাদের দলের নেতা। এত ভদ্র, সভ্য, সজ্জন, জ্ঞানী একটি ব্যক্তি, একজন সাধুসম মানুষ ছিলেন। রাজনৈতিক দল করলেও যাঁর ভাবনায় চলনে বলনে মানুষের প্রতি সম্মান, দেশের প্রতি সম্মান ভালবাসা প্রকাশ পেত। খুবই খারাপ লাগছে। এইরকম সাধুসম মানুষ চলে গেলেন।'
কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সি বলছেন, 'আজ সবাই আমরা ভীষণ ভারাক্রান্ত। এমন একজন মানুষকে আমরা হারিয়েছি.. মনমোহন সিংহ দেশের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন একজন বড় অর্থনীতিবিদ। কিন্তু উনি আমি এবং আমার স্বামী ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ কারণ উনি আমাদের নিজের পরিবারের অংশ বলে মনে করেছেন। আমাদের গাইড করেছেন। আমাদের মাথার ওপর মেন্টর হিসেবে উনি ছিলেন। যখন প্রিয় অসুস্থ তখন তিনি স্পেশাল ফ্লাইট পাঠিয়ে তাঁকে কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। আমি আমার পরিবারের একজন মানুষকে হারিয়েছি বলেই মনে হচ্ছে। এই ক্ষতিটা আমি কীভাবে বলব বুঝে উঠতে পারছি না।'
আরও পড়ুন: Uorfi Javed: কখনও প্লাস্টিক, কখনও গাছপালা.. কেন এমন সব অদ্ভুত পোশাক পরেন উরফি জাভেদ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।