PM Cares Fund: 'পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিম' কী? কারা, কীভাবে পাবে এই সুবিধা?
PM Cares Fund Update: শিশুদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য সরকার একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। এটি সিঙ্গল-উইন্ডো সিস্টেম যার মাধ্যমে শিশুদের নাম অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য সমস্ত কাজ সহজে করা যায়।
নয়াদিল্লি: আজ, ৩০ মে, মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তি। এই উপলক্ষ্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয় বিজেপি (BJP) সরকারের পক্ষ থেকে। তার মধ্যে অন্যতম করোনায় অনাথ হয়ে পড়া শিশুদের বৃত্তি ও 'পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিম'-এর (PM CARES for children scheme) মাধ্যমে তাদের জন্য নতুন স্কলারশিপের (Scholarship) ঘোষণা। বুধবারই ট্যুইট করে এই বিশেষ ঘোষণা করা হয়।
কী এই 'পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিম'?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিশুদের জন্য পিএম কেয়ার স্কিমের অধীনে সুবিধাগুলির কথা ঘোষণা করেছেন। স্কুলে যাচ্ছে এমন শিশুদের স্কলারশিপ দেন তিনি। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে 'পিএম কেয়ার ফল চিলড্রেন'-এর একটা করে পাসবই ও 'আয়ুষ্মান ভারত - প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা'র স্বাস্থ্যকার্ডও তুলে দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৯ মে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন যে সমস্ত শিশুরা করোনা অতিমারীর কারণে তাদের বাবা ও মা, দুইজনকেই হারিয়েছে, তাদের সাহায্য করবে কেন্দ্র। এই স্কিমের উদ্দেশ্য হল করোনা অতিমারীতে বাবা-মাকে হারিয়েছে এমন শিশুদের সঠিক পদ্ধতিতে সর্বাধিক যত্ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে তাদের সুস্থতার খেয়াল রাখা, শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাশালী করে তোলা এবং তাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ অস্তিত্বের জন্য তৈরি করা। এই সমস্ত শিশুর ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত এই আর্থিক সহায়তা তারা পাবে।
'পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিম' অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দেখভাল নিশ্চিত করে। এই স্কিমের মাধ্যমে ১৮ বছর বয়স থেকে মাসিক বৃত্তি দেওয়া এবং ২৩ বছর বয়সে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেয়।
আর কী কী সুবিধা রয়েছে এই স্কিমে?
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই স্কিমের অধীনে কেউ যদি প্রফেশনাল কোর্স বা উচ্চশিক্ষার জন্য এডুকেশন লোনও নিতে চায় তাও দেওয়া হবে 'পিএম কেয়ার্স' থেকে। প্রত্যেক মাসে তাদের ৪০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যাতে তারা দৈনন্দিন খরচ চালাতে পারেন।
এই স্কিমের অধীনে যে স্বাস্থ্য কার্ড শিশুদের দেওয়া হলে তাতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিষেবা পেতে পারে তারা।
শিশুদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য সরকার একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। পোর্টালটি একটি একক-উইন্ডো সিস্টেম যার মাধ্যমে শিশুদের নাম অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য সমস্ত কাজ সহজে করা যায়।