Santhal Hul Diwas: ভোটের সময় মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ, হুল দিবসে সেই বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে তৃণমূল
‘হুল দিবস’ উপলক্ষ্যে বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করল তৃণমূল
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ‘হুল দিবস’ উপলক্ষ্যে বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতেও গেলেন শাসক দলের প্রতিনিধিরা।
পাশে থাকে তৃণমূলই, বিজেপিকে কটাক্ষ শাসক দলের। মিথ্যে কৃতিত্ব নিতেই ব্যস্ত তৃণমূল, পাল্টা কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের নাম। গত বছর ৫ নভেম্বর আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই আদিবাসী পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তৃণমূল। ভোটের পর রাজ্যের শাসনক্ষমতায় ফের তৃণমূল কংগ্রেস।
‘হুল দিবস’ উপলক্ষ্যে বুধবার ফের সেই বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গেলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। পাশাপাশি চতুরডিহির বাসিন্দাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণও করলেন শাসক দলের প্রতিনিধিরা।
বিভীষণ হাঁসদা বললেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমার বাড়িতে খেয়েছিলেন। এদিন তৃণমূল সভাপতি বাড়িতে এলেন। যদিও আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। তবে তারা তাঁর বাড়িতে এসে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, এটুকুই ভালো লাগা।
স্ত্রী শুকুমনি হাঁসদা বললেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রামে এসেছিলেন, তারপরও কিন্তু গ্রামের কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন তৃণমূল জেলা সভাপতি নিজে গ্রামে এসেছিলেন। পানীয় জল সহ অন্যান্য সমস্যার কথা তাঁকেও জানালাম। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
ভোটের আগে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, কটাক্ষ জেলা তৃণমূল সভাপতির।
শ্যামল সাঁতরা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই গ্রামে এসে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছিলেন কিছুই হয়নি। সব প্রতিশ্রুতি মাঠে মারা গেছে। এখানকার মানুষ তাদের যে অভাব অভিযোগের কথা জানিয়েছেন তা পূরণ করা হবে।
উন্নয়নের প্রশ্নে পাল্টা তৃণমূলের দিকেই বল ঠেলেছে বিজেপি। বিধায়ক নীলাদ্রি দানা বলেন, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের দায়িত্ব তো রাজ্য সরকারের। তৃণমূলের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
এবার দিন কি বদলাবে চতুরডিহির মানুষের, একটাই প্রশ্ন এখন ঘুরছে গ্রামবাসীদের মনে।