RG Kar Lady Doctor's Murder: 'আমরা আরও একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে পারব না', আরজি কর কাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ শীর্ষ আদালতের
Supreme Court: আরজি কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। হাইকোর্টের থেকে আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে।
নয়াদিল্লি : আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, চিকিৎসক ও মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জাতীয় স্বার্থের বিষয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "আমরা আরও একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে পারব না। চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইন রয়েছে রাজ্যে।"
আরজি কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। মামলা গিয়ে পৌছেছে সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের থেকে আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার এদিন শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। তাতে একাধিক পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
তরুণ চিকিৎসকদের নিরাপদে কাজের পরিবেশের অভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, "মহিলারা যদি কাজে যেতে না পারেন বা পরিস্থিতি যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে আমরা তাঁদের সমতাকে অস্বীকার করছি।"
এর পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম, ছবি এবং ভিডিও একাধিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, এটা চূড়ান্ত উদ্বেগের বিষয়।
আরজি কর থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে পাঠানো হয়েছিল। যদিও অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁকে মানতে নারাজ ছিলেন ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া-চিকিৎসকরা। সরকারি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টও তাঁকে ছুটির আবেদন করে লম্বা ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সেই সন্দীপ ঘোষকে সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্টও। তাদের বক্তব্য, 'যখন আরজি করের অধ্যক্ষের আচরণ নিয়ে স্ক্রুটিনি চলছিল, সেই মুহূর্তে কি করে তাঁকে অন্য কলেজে নিয়োগ করা হয় ?'
এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট বলে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিত ছিল। অপরাধ স্থলেও সুরক্ষা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রাজ্য কেন তা পারল না তা বোঝা গেল না।
এর পাশাপাশি তৎকালীন অধ্যক্ষ কেন বলেছিলেন এটি আত্মহত্যার ঘটনা ? হাসপাতালে কী করে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা করল? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া আর জি কর মেডিক্যালে ভাঙচুরের ঘটনায় ২২ অগাস্টের মধ্যে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রাজ্যের থেকে ভাঙচুরকাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।