Year Ender 2022: প্রতি মিনিটে ১৮৬টি ডেলিভারি! '২২-এও স্বাদে-আহ্লাদে সেরা বিরিয়ানি
Most Ordered Food Item:প্রতি মিনিটে ১৮৬টি ডেলিভারি! রসনাতৃপ্তির মিটারে এ বছর সেরা বিরিয়ানি, জানাচ্ছে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ 'জোমাটো'। ২০২২-র একেবারে শেষে এসে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হওয়া খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা।
নয়াদিল্লি: প্রতি মিনিটে (minute) ১৮৬টি ডেলিভারি (delivery)! রসনাতৃপ্তির মিটারে এ বছর সেরা বিরিয়ানি (biryani), জানাচ্ছে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ 'জোমাটো' (Zomato)। ২০২২-র একেবারে শেষে এসে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হওয়া খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। দেখা যাচ্ছে, সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে বিরিয়ানি। অঙ্কের হিসেবে, গত বছর গড়ে এই জিভে জল আনা খাবারটি প্রতি মিনিটে ১৮৬ বার 'ডেলিভারি' হয়েছে।
কী লিখেছে জোমাটো?
ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সুরসিক পোস্ট, 'এ বছরও বিরিয়ানি সকলের সেরা (GOAT বা greatest of all time)।' এর আগে আর এক ফুড ডেলিভারি অ্যাপ 'সুইগি'-ও এক কথা জানায়। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, গড়ে প্রতি মিনিটে ১৩৭টি বিরিয়ানির অর্ডার পৌঁছেছে। জোমাটো অবশ্য দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর কথাও জানিয়েছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে ২০২২ সালে বিরিয়ানির পরের স্থানেই রয়েছে পিৎজা। প্রতি মিনিটে গড়ে ১৩৯টি ডেলিভারি হয়েছে এই ইতালীয় পদের।
আর কী চমক...
ফুড ডেলিভারি এই সংস্থা অবশ্য বর্ষশেষে এসে আরও কিছু চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো পরিসংখ্যান পেশ করেছে। যেমন, তাদের সংস্থার থেকে সবচেয়ে বেশি যিনি অর্ডার করেছেন, তার অর্ডার করা খাবারের আর্থিক পরিমাণ ২৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬১১ টাকা। রয়েছে আরও কিছু তথ্য। যেমন, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অর্ডার করেছেন দিল্লির বাসিন্দা অঙ্কুর। গোটা বছরে ৩ হাজার ৩৩০ বার খাবার অর্ডার দিয়েছেন জোমাটোয়। সবচেয়ে বেশি কেক অর্ডার দিয়ে জোমাটোর খাতায় আলাদা নাম তুলেছেন মুম্বইয়ের রাহুল। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। খড়্গপুরের টিনা যেমন ২৫ হাজার টাকারও বেশি পিৎজা অর্ডার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আরও একটি শহরের নাম রয়েছে জোমাটোর এই বিশেষ তালিকায়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। ফুড ডেলিভারি সংস্থার দাবি, এই শহরই খাবার অর্ডার দেওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি 'ডিসকাউন্ট'-প্রেমী।
তবে বিরিয়ানি-প্রেমের সামনে সব রেকর্ড ম্লান। সরু চালের এই সুস্বাদু খাবারের প্রতি তামাম ভারতের আকর্ষণ ফের একবার তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে এই পদের হরেক স্বাদ। কেউ হায়দরাবাদি বিরিয়ানি পছন্দ করেন, কারও আবার লখনউ ঘরানার বিরিয়ানি ছাড়া কিছু রোচে না। আবার খাঁটি কলকাতার বিরিয়ানিতে ব্যবহৃত উপাদান কিছুটা আলাদা। কিন্তু এত বৈচিত্রে সত্ত্বেও বিরিয়ানি প্রেমে ঘাটতি আসেনি একটুও, বছর পেরিয়েও এটিই সত্যি।
আরও পড়ুন:বর্ষশেষে শীতের আমেজ মহানগরে, কেমন থাকবেন শহরবাসী?