Bangladesh MP Murder : মাথার চামড়াও ছাড়িয়ে নেওয়া হয় বাংলাদেশের মৃত সাংসদের, উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
MP Anwarul Azim Anar Murder : খুনের পর শুধু শরীরের নয়, মাথার চামড়াও ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। ধৃতদের জেরা করে দেহ ও দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : বাংলায় এসে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিম ( MP Anwarul Azim Anar )। সূত্রের খবর, খুনের পর শুধু শরীরের নয়, মাথার চামড়াও ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। ধৃতদের জেরা করে দেহ ও দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। এরইমধ্য়ে, কলকাতায় এসেছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান (Mohammad Harun-or-Rashid, the head of Dhaka Metropolitan Police)। সোমবার তিনি কথা বলেন ধৃত আমানুল্লার সঙ্গে। কোন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এই কথোপকথনে ?
জানা গিয়েছে, মাথা ও হাড় ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় ফয়জল নামে এক যুবককে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাট এলাকায় দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছে ধৃত জিহাদ। ধৃতকে জেরা করে গোয়েন্দাদের দাবি, সাংসদের দেহাংশ এবং হাড়-মাথা ফেলা হয়েছে ২ জায়গায়। এই মুহূর্তে সিআইডির চাঞ্চল্যকর দাবি, জাল পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসেছিল বাংলাদেশের সাংসদ খুনের অন্যতম চক্রী । ঢাকা পুলিশের হাতে ধৃত আমানুল্লাই সাংসদকে খুনের জন্য লোক নিয়োগ করেছিল, যিনি কিনা বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিমের বাল্যবন্ধু। আসলে খুনের মাস্টারমাইন্ড হলেন মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান। তাঁর হয়ে কাজ করছিল বন্ধু আমানুল্লা। এদিন নিউটাউনের আবাসনে যেখানে খুনের ঘটনা ঘটে, সেই ফ্ল্যাটে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন-উর-রশিদ। ভিডিও কলে কথা বলেন আমানুল্লার সঙ্গে। কীভাবে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তা জানার পর ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় যান বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান। বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করে এখানেই দেহ বা দেহাংশ ফেলা হয় বলে অনুমান পুলিশের।
বনগাঁ থেকে ধরা পড়া ভাড়া করা কষাই জিহাদের থেকে থেকে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে সাংসদকে অজ্ঞান করা হয়। তারপর তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। এরপর মৃতদেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করে কাটা হয় হাড় ও মাংস। সেগুলি ভরা হয় বিভিন্ন প্যাকেটে। গভীর রাতে দেহাংশের প্যাকেট ফেলা হয় ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকার জলাশয়ে। সিআইডি সূত্রে খবর, দেহাংশ ফেলার পর ব্যাগ ২টি ফেলা হয় অন্য জায়গায়।
খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁর মধ্যে একজন মহিলা। সেই সূত্রেই একটি হানিট্র্যাপের অভিযোগ উঠে আসে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে কার্নিশ ভেঙে মৃত্যু, কলকাতায় প্রাণ কাড়ল রেমাল