Digital Arrest : 'পুলিশ গ্রেফতার করতে যাচ্ছে', আতঙ্কে টাকা ট্রান্সফার; প্রতারকের জালে পড়ে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
Online Fraudsters : মোবাইল ফোন, মূলত ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে প্রতারকরা সরিসরি পৌঁছে যাচ্ছে আমজনতার বাড়ি।

বেঙ্গালুরু : বাড়িতে বসে থাকা অবস্থাতেই সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ! অনলাইন-প্রতারকদের জালে পড়ে বহু কষ্টের উপার্জনের টাকা নিমেষে খোয়ালেন কামতা প্রসাদ সিং নামের ওই ব্যক্তি। বর্তমানে সময়ে দেশজুড়ে মাথাচাড়া দেওয়া "ডিজিটাল অ্যারেস্টে"-এর রমরমা শুরু হয়েছে। যেখানে প্রতারক নিজেকে পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বড় পরিমাণ টাকা ট্রান্সফার করার কথা বলে প্রতারণা করে। বিষয়টি এতটাই বেড়ে গেছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনিয়ে সতর্কবার্ত পাঠিয়েছেন।
সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে ফেলেছেন সিং সংবাদ সংস্থা AFP-কে বলেন, "বছরের পর বছর ধরে আমি বাইরে চা পান করা এড়িয়ে যাই। এমনকী খরচ বাঁচাতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে হাঁটি। শুধুমাত্র আমিই জানিয়ে কীভাবে সঞ্চয় করেছিলাম।" কথাগুলি বলতে বলতে গলা ভেঙে আসে ৬২-র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের। পুলিশ বলছে, স্ক্যামাররা ভারতের ডেটা ডিজিটালাইজেশন, ব্যক্তিগত বিবরণ থেকে শুরু করে অনলাইন ব্যাঙ্কিং এবং ইন্টারনেট নিরাপত্তার মতো অনেকগুলি বিষয়ে সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়েছে।
ডাটা হাতানোর জন্য প্রতারকরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।
এই পরিস্থিতিতে গত অক্টোবর মাসে রেডি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "আতঙ্কে অনেক ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছেন। এই প্রতারকরা ভুক্তভোগীদের ওপর খুব বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।"
মোবাইল ফোন, মূলত ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে প্রতারকরা সরিসরি পৌঁছে যাচ্ছে আমজনতার বাড়ি। এদিকে বিশ্বের সবথেকে বড় বায়োমেট্রিক ডিজিটাল পরিচয়পত্র তথা আধার কার্ড চলে ভারতে। ১০০ কোটি টাকার বেশি মানুষ এর ব্যবহার করছেন। আর্থিক লেনদেনের জন্য যার প্রয়োজন পড়ে।
প্রতারকরা প্রায়শই দাবি করে যে, তারা সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করা পুলিশ। তাদের টার্গেটের আধার নম্বরটি আসল বলে উদ্ধৃত করে। তারপরে তারা টাকা হাতানোর আগে তাদের শিকারকে অ্যাকাউন্ট যাচাই করার জন্য একটি সাময়িক ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের অনুরোধ করে । বিহারের বাসিন্দা সিংয়ের দাবি, ডিসেম্বরে এরকম একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে প্রচুর মিথ্যা কথা বলা হয়। এমনকী তারা এমনও বলে যে, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে আসছে।
তাঁকে আরও বলা হয়, বেআইনি লেনদেনের জন্য তাঁর আধার কার্ড ব্য়বহার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে, সিং প্রমাণ করার চেষ্টা করেন আধার কার্ড তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। শেষমেশ ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৩২ টাকা ট্রান্সফার করে দেন তিনি। টাকা খুইয়ে তিনি বলছেন, "আমার ঘুম উড়ে গেছে। খেতেও মন চাইছে না। আমি শেষ হয়ে গেলাম।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
