![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
ISS Superbug: ২৪ বছর ধরে মহাকাশে Superbug, চরিত্র বদলে আরও শক্তিশালী, বিজ্ঞানীরাই কি বয়ে নিয়ে গেলেন!
Science News: ওই Superbugটিকে Enterobacter Bugandensis নামে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
![ISS Superbug: ২৪ বছর ধরে মহাকাশে Superbug, চরিত্র বদলে আরও শক্তিশালী, বিজ্ঞানীরাই কি বয়ে নিয়ে গেলেন! Superbug detected at International Space Station Where Sunita Williams and other Astronauts are lodged ISS Superbug: ২৪ বছর ধরে মহাকাশে Superbug, চরিত্র বদলে আরও শক্তিশালী, বিজ্ঞানীরাই কি বয়ে নিয়ে গেলেন!](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/06/11/f5a79044c758ecd4e88b05a6d47b3e971718119157346338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: পৃথিবী থেকে এবার মহাশূন্যে গিয়ে পৌঁছল সংক্রামক ব্যাকটিরিয়া। যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন মহাকাশ গবেষণার অন্যতম ভরসা, সেখানেই রোগের ব্যাকটিরিয়া ঢুকে পড়েছে। এই ব্যাকটিরিয়াকে Superbug বলে উল্লেখ করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ একাধিক ওষুধও সেটিকে কাবু করতে পারে না, সেটি একেবারে শ্বাসযন্ত্রে ঢুকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। (ISS Superbug)
ওই Superbugটিকে Enterobacter Bugandensis নামে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ছড়ায় এই ব্যাকটিরিয়া। চরিত্র বদল করে, বদ্ধ জায়গায় সেটিও আরও শক্তি অর্জন করেছে এবং কোনও ওষুধই তার উপর কাজ করে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গোড়া থেকে মহাশূন্যে ওই ব্যাকটিরিয়ার অস্তিত্ব ছিল না। কোনও বিজ্ঞানীর শরীরেই সেটি বাসা বেঁধেছিল এবং তাঁর মাধ্যমেই ওই ব্যাকটিরিয়া আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। (Science News)
গত ৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহকর্মী ব্যারি বুচ উইলমোর। এক সপ্তাহ ধরে সেখানে গবেষণা চালাবেন তাঁরা। গবেষণা শেষ হলে আবারও ফিরে আসবেন পৃথিবীতে। যে রকেটে চেপে তাঁরা মহাকাশে গিয়েছেন, সেটির নকশা তৈরিতেও ভূমিকা রয়েছে সুনীতার।
আরও পড়ুন: Mysterious Hole In Mars:মঙ্গলের গায়ের গর্ত কি নভোচরদের ভবিষ্যৎ আস্তানা? আশা বিজ্ঞানীদের
সুনীতা এবং ব্যারি ছাড়াও এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন আরও সাত জন মহাকাশচারী। এযাবৎকালীন মহাজাগতিক আবর্জনা এবং ক্ষুদ্রাকার গ্রহাণুর সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের ধাক্কাকেই বিপদ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু অন্যতম বিপদ হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে Enterobacter Bugandensis ব্যাকটিরিয়াটি। মহাকাশচারীদের মাধ্য়মে সেটি শুধু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছয়ইনি, গত ২৪ বছরে বারংবার চরিত্রবদলও করেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, Enterobacter Bugandensis ব্যাকটিরিয়ার বিভিন্ন রূপকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যাকটিরিয়ার ১৩টি রূপের সন্ধান মিলেছে। তবে ইতিমধ্যেই কুখ্যাতি কুড়িয়েছে ব্যাকটিরিয়াটি। কারণ একাধিক ওষুধ প্রয়োগ করেও সেটিকে কাবু করা যায়নি। বদ্ধ জায়গায় বার বার চরিত্র বদল করে, সেটি পৃথিবীতে প্রাপ্ত ব্যাকটিরিয়ার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে টিকে রয়েছে ওই ব্যাকটিরিয়া। অন্য অণুজীবদের সঙ্গে শুধুমাত্র সহাবস্থানই করেনি, কিছু ক্ষেত্রে ওই অণুজীবগুলিকে বেঁচে থাকতেও সাহায্য় করেছে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডিনায় NASA-র জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরিতে কর্মরত কস্তুরী ভেঙ্কটেশ্বরণের নেতৃত্বে Enterobacter Bugandensis ব্যাকটিরিয়াটিকে নিয়ে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। চেন্নাইয়ে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় মেরিন মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে গবেষণা করতেন কস্তুরী। পরবর্তীতে NASA-য় যোগদান করেন। ২০২৩ সালে Kalameiella Piersonii নামের একটি ব্যাকটিরিয়া আবিষ্কার করেন, যাকে কোনও ওষুধই কাবু করতে পারে না। নিজের অনুপ্রেরণা এপিজে আবদুল কালামের নামে সেটির নামকরণ করেন। Enterobacter Bugandensis ব্যাকটিরিয়াটিকে নিয়ে গবেষণায় হাত লাগিয়েছে IIT মাদ্রাজও।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সবরকমের ওষুধ বা চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। রীতিমতো ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন মহাকাশচারীরা। তাই চরম পরিস্থিতিতেও এত বছর কী করে টিকে গেল ওই ব্যাকটিরিয়া, তাও ভাবাচ্ছে সকলকে। এই গবেষণায় ভর করে আগামী দিনে প্যাথোজেন তৈরি করে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ সহজতর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এত বছর যে মহাকাশে অস্তিত্ব রক্ষা করে গেল ওই ব্যাকটিরিয়া, তাও মহাকাশ গবেষণার কাজে আরও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)