FIFA World Cup 2022 Semifinal: আর্জেন্তিনা-ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি ফুটবল যুদ্ধের ইতিহাস কী বলছে?
Qatar World Cup: বিশ্বজয়ের আরও কাছে চলে যাওয়া। লিওনেল মেসির সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই বলবেন যে তিনিই ফেভারিট। কিন্তু পাল্টা লড়াই দিতে প্রস্তুত মদ্রিচের দলও।
য় পদোহা: টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup) মঞ্চে সেমিফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে অধরা মাধুরী এবার নিজের ক্যাবিনেটে তুলে রাখতে মরিয়া লিওনেল মেসি ও তাঁর দল আর্জেন্তিনা। আগামী বুধবার রাত ১২.৩০-এ মুখোমুখি হতে চলেছে ২ দল। জিতলে ফাইনালের টিকিট পাকা। আর বিশ্বজয়ের আরও কাছে চলে যাওয়া। লিওনেল মেসির সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই বলবেন যে তিনিই ফেভারিট। কিন্তু পাল্টা লড়াই দিতে প্রস্তুত মদ্রিচের দলও।
মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে?
১৯৯৪ সালে প্রথমবারের সাক্ষাতে ০-০ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল ম্যাচ। এরপর ২ দলই ২টো করে ম্য়াচ জিতেছে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আর্জেন্তিনা জয় পায়। এরপর ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ২০০৬ সালে ক্রোয়েশিয়া জয় পায়। এরপর ২০১৪ সালে আরও একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে জয় পায় আর্জেন্তিনা। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের মঞ্চে শেষবারে সাক্ষাতে ৩-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ক্রোয়েশিয়া।
স্যান্তোসের আক্ষেপ নেই
স্যুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের পর মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচেও প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo)। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের (Fernando Santos) সঙ্গে রোনাল্ডোর সম্পর্ক যে কিছুটা খারাপ হয়েছে, তার একটা আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। এরপরই শাকিরিদের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তাঁকে না রেখে রামোসকে নামিয়েছিলেন। যিনি আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার নেমেই হ্যাটট্রিক করেছেন। তাঁকেই ফের একবার স্ট্রাইকিং লাইনে রেখে দল সাজান পর্তুগিজ কোচ। সুইস ম্যাচের একাদশই ধরে রাখেন তিনি।
ম্যাচের ৪২ মিনিটের মাথায় ইউসুফ এল-নাসিরি গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত রোনাল্ডোকে মাঠে নামান স্যান্তোস। সি আর সেভেন মাঠে নামার পর পর্তুগালের খেলায় গতি ফিরলেও মরক্কোর শক্তিশালী ডিফেন্স ভেদ করে গোল করাটা একপ্রকার অসাধ্য ছিল পর্তুগালের কাছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু ট্রফি অধরাই থেকে গেল ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনওবারই কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করতে পারেননি রোনাল্ডো। এবারও পারলেন না। দেশের জার্সিতে ১৯৬ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড তো গড়লেন, কিন্তু ম্যাচ শেষে চোখের জলেই বিদায় নিতে হল পর্তুগিজ সুপারস্টারকে।
তবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই স্যান্টোসের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'ওকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই। আমি তো হৃদয়কে প্রাধান্য দিয়ে দল বাছতে পারি না। স্যুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে এই দলই খুব ভাল খেলেছিল এবং সেই দল বদল করার কোনও মানে হয় না। (রোনাল্ডোকে বাদ দিয়ে) পরিকল্পনা তৈরি করাটা খুবই কষ্টকর ছিল। তবে দিনের শেষে মনকে প্রাধান্য দিলে তো আর হবে না। তবে এর মানে এটা নয় যে রোনাল্ডোর দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন রয়েছে। ওকে বাদ দেওয়ার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।'