Womens wrestlers: মহিলা কুস্তিগীরদের অভিযোগের পরও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, কড়া পদক্ষেপ দিল্লি মহিলা কমিশনের
Womens wrestlers Update: এরপর যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ সভাতেও বসেন অসংখ্য মহিলা কুস্তিগীর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাক্ষী মালিকও।
নয়াদিল্লি: সর্বভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ সিংহয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল দিল্লি মহিলা কমিশন। গত পাঁচদিন ধরে বারবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন ফেডারেশনের ৭ জন মহিলা কুস্তিগীর। ব্রিজভূষণ সিংহ তাঁদের যৌন হেনস্থা করেছেন, এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপরও পুলিশের পর থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এরপর যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ সভাতেও বসেন অসংখ্য মহিলা কুস্তিগীর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাক্ষী মালিকও। ছিলেন ভিনেশ ফোগাত থেকে বজরং পুনিয়ার মতো তারকা কুস্তিগীরও। এবার দিল্লি মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হল। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও এফআইআর না করার জন্য এবার পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি মহিলা পুলিশ কমিশন।
কমিশনের তরফে বন্দনা সিংহ জানিয়েছেন, ''পাঁচদিন হয়ে গেল কিন্তু দিল্লি পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। পকসোর কেসও আছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। মেয়েদের পরিবারের কাছে ক্রমাগত খুনের হুমকি আসছে। পরিবারের মানুষের মনে হচ্ছে যে দিল্লি পুলিশের অফিসাররা সব নাম ফাঁস করে দেওয়ায় তাঁদের বিপদ আরও বাড়ছে। দেশের রাজধানীতে প্রতিদিন ৬ জন করে করে নারী শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন। এই পরিস্থিতিতে এখানকার পুলিশ পুরো গুন্ডামিতে নেমে এসেছে।'' তিনি আরও বলেন, ''সেকশন ১৬৬ এ সি ক্লস আইপিসি ধারায় বলা আছে যে যদি কোনও পুলিশ কোনও যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া নারীর অভিযোগ না নেন, তবে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়। আজ আমাদের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশের মহিলা সুরক্ষা কমিশনারকে বার্তা দিয়েছি যে দ্রুত খোঁজ নিতে যে কোন কোন পুলিশ অফিসার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের এফআইআর দায়ের করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।''
উল্লেখ্য, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারিনীরা। সেই আবেদনে সাড়া দিল দেশের শীর্ষ আদালত। দিল্লি পুলিশকে তলব করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেছেন, ''যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। নির্যাতিতারা সাত জন মহিলা কুস্তিগীর। হেনস্থার সময় তাঁদের এক জনের বয়স ছিল ১৬ বছর। সে সোনার পদকও জিতেছে।'' মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে বলেছে, ''ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক গেমসে যে সব রেসলাররা প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরাই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ গুরুতর। তাই বিষয়টি নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ দরকার।''