Travis Head : হাত ভেঙে অর্ধেক বিশ্বকাপে বাইরে থাকা হেডই নায়ক ফাইনালে, প্রশংসায় ভরালেন কামিন্স
ODI World Cup 2023 : মোহিন্দর অমরনাথ (১৯৮৩), অরবিন্দ ডি সিলভা (১৯৯৬) ও শেন ওয়ার্ন (১৯৯৯) মাত্র তিনজন ক্রিকেটার এর আগে একই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন।

আমদাবাদ : ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের মঞ্চে ঝকঝকে ১৩৭ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড (Travis Head)। রিকি পন্টিং (২০০৩), অ্যাডাম গিলক্রিস্টের (২০০৭) পর তৃতীয় অজি ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে (World Cup Final 2023) শতরান হাঁকানোর অনন্য নজির গড়েছেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে জেতানোরও মূলস কারিগর ছিলেন বাঁ-হাতি ব্যাটারটি। সেই ম্যাচেও হয়েছিলেন সেরা ক্রিকেটার।
একই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়ার দুরন্ত নজিরও ঝুলিতে পুরেছেন ট্রাভিস হেড। যে বর্ণময় তালিকায় মোহিন্দর অমরনাথ (১৯৮৩), অরবিন্দ ডি সিলভা (১৯৯৬) ও শেন ওয়ার্ন (১৯৯৯), মাত্র তিনজন ক্রিকেটার গড়েছিলেন যে নজির। মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহদের সামলে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বক্রিকেটের হেক্সা জেতানোর মূল কারিগরের একসময় ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলা নিয়েই ছিল প্রবল সংশয়। প্রাথমিকভাবে তিনি দলে সুযোগ পাবেন কি না এই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠলেও চলতি বছরেই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেরা খেলোয়াড়ের তকমা জেতা হেডে হাতের চোটে তৈরি হয়েছিল সংশয়।
চলতি বিশ্বকাপের (World Cup 2023) বেশ কিছু ম্যাচেই তিনি খেলতে পারেননি। দলের সঙ্গে বসেছিলেন সাইডলাইনে। তবে অস্ট্রেলিয়ার চিফ সিলেকটর জর্জ বেইলি, কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও অধিনায়ক প্যাট্রিক কামিন্স (Pat Cummins) আস্থা রেখেছিলেন দলের ওপেনারের ওপর। সেই কথাই বলতে গিয়ে স্বস্তির ঝিলিক খেলে গেল অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের কথায়। কামিন্সের বক্তব্য, 'আঙুল ভাঙা, বলা ভাল হাত ভাঙা কাউকে দলে রাখার ঝুঁকিটা কম নয়। অর্ধেক বিশ্বকাপেই খেলতে পারেনি ও। ওঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর (অ্যান্ড্রু) ম্যাকডোনাল্ড, (জর্জ) বেইলি ও মেডিক্যাল টিমের কৃতিত্ব প্রাপ্য়। চোট পাওয়া কাউকে দলে রাখার পর সে খেলতে না পারলে আমাদের প্রত্যেককেই প্রচণ্ড বোকা বলে মনে হত। তাই হেডের চোটের পর ওঁকে দলে রাখার ঝুঁকির ছিল বটে, তবে বড় প্রতিযোগিতা জিততে গেলে খানিক ঝুঁকি তো নিতেই হয়।'
হেডের প্রতি যে তাঁর অগাধ আস্থা সেটা বুঝিয়ে কামিন্সের সংযোজন, 'আমাদের দলটা ঠিক যেমন, তারই যেন প্রতিফলন ও (হেড)। হাসিমুখে সবরকম চ্যালেঞ্জের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে ও। একাহাতে প্রতিপক্ষকে পাল্টা চাপে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখ হেড। পাশাপাশি সতীর্থ হিসেবেও দুরন্ত। ট্রেভের (ট্রাভিস হেড) জন্য দারুণ খুশি আমি।'
আরও পড়ুন- 'বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্ভাগা' রোহিতকে সান্ত্বনা হেডের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
