(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Singur Fire: সিঙ্গুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আগুন
Hooghly News: আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নিজেরাই নেভাতে হাত লাগান স্থানীয়রা। আগুন লাগার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা।
সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: সিঙ্গুরে (Singur) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আগুন। স্থানীয়দের চেষ্টায় বড়সড় বিপত্তি থেকে থেকে রক্ষা। সিঙ্গুরের বাসুবাটির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নিজেরাই নেভাতে হাত লাগান স্থানীয়রা। আগুন লাগার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা।
বড়সড় বিপত্তি থেকে থেকে রক্ষা: স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের বাসুবাটিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আগুন লাগে। এদিন সকাল ৮টা নাগাদ ব্যাঙ্কের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। গ্রামবাসীরা বালতি দিয়ে জল ঢালেন। ব্যবসায়ী তারক কর্মকারের বাড়ির একতলায় রয়েছে এই ব্যাঙ্ক। দোতলায় থাকেন তারক কর্মকার। তাঁর ছেলে অনির্বাণ কর্মকার বলেন, “সকালে ব্যাঙ্কের জানালা দিয়ে কালো ধোঁয়া দেখে পাড়া প্রতিবেশীদের ডাকি। ব্যাঙ্কের লোককেও খবর দিই। আমরা ও গ্রামবাসীরা জল নিয়ে এসে আগুন নিভিয়েছি। আগুন নেভানোর পর দমকল আসে।’’
দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ব্যাঙ্কে যাওয়ার রাস্তা সরু হওয়ায় বাধা পায় দমকল কর্মীরা। পরে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের কাজে হাত লাগান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকল আধিকারিকরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছু জানা যায়নি। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত দাস জানান, “আজ সকাল বেলা এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জলছে। গ্ৰামবাসীর ও পুলিশের সহযোগিতায় আগুন নেভানো হয়। সমস্ত ইলেকট্রিক সংযোগ বন্ধ করা হয়। দমকলও আসে। নথিপত্রও কিছু পুড়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধেয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ইছাপুর বস্তির বড় অংশ। আগুনের লেলিহান শিখায় কমপক্ষে ৯০টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। ঘরের মধ্যে যাবতীয় আসবাবপত্র সহ বই, ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সবই পুড়ে গিয়েছে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ঘরে আগুন ধরে যায়। বস্তির বেশিরভাগ ঘরের বাসিন্দাই কোনও কিছুই বের করার সময় পাননি। শীতের রাতে সব হারিয়ে বাসিন্দারা কার্যত পথে বসেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইছাপুর গার্লস স্কুলে ক্যাম্প করা হয়। সেই ক্যাম্পেই বাসিন্দারা এক কাপড়ে ওঠেন। ক্যাম্পেই বাসিন্দাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: পৈতৃক জমি নিয়ে বচসার জের, দাদাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে