Dengue Scare : সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৩, বেসরকারিতে ৫০ ছুঁইছুই, আর কত প্রাণহানি ডেঙ্গিতে ?
Dengue Death : বৃহস্পতিবারও জোড়া প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গি (Dengue Death)। মিন্টো পার্কের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কিশোরের। আর সল্টলেকের দত্তাবাদে মৃত্যু হল ৫২ বছরের গৃহবধূর।
কলকাতা : আর কত মৃত্য়ু ? আর কত প্রাণহানি ? ডেঙ্গির ভয়াবহ প্রকোপে (Dengue Scare) আর কত সহনাগরিকদের হারাতে হবে আমাদের ? সরকারি মতে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩। আর বেসরকারিতে ? ৪৭। কার্যত পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে প্রায় ৪০ হাজার মশাবাহিত (Mosquito Borne Disease) রোগের প্রকোপ ভয়াবহ আকার নেওয়ার পর প্রশাসনের তরফে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। সেখানেই বিরোধীদের খোঁচা, প্রত্যেক বছর কেন একই চিত্র ? কেন অনেকের প্রাণহানির পর হুঁশ ফিরবে সরকারের। এর মাঝেই চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলেও সময় নষ্ট না করে ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
চলতে থাকা কথার যুদ্ধের মাঝে বৃহস্পতিবারও জোড়া প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গি (Dengue Death)। দুটি মৃত্যুই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। মিন্টো পার্কের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কিশোরের। আর সল্টলেকের দত্তাবাদে মৃত্যু হল ৫২ বছরের গৃহবধূর। হাসপাতালের রিপোর্টে সিভিয়ার ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে সল্টলেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্য়ু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। জেলায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৪০২ জন। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ২ হাজার ৯৫৬। আর শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ জন আক্রান্ত। এক সপ্তাহে ১ হাজার ৫৮৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
২ দিন আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায় (Tapas Chatterjee)। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায়, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন। ডেঙ্গি ভয়াবহ চেহারা নেওয়ার পর, টনক নড়েছে পুরসভার। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে জমা জলে, ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাওডার, মশা মারার তেল। চিন্তা আর উদ্বেগের প্রহর কাটাচ্ছেন আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
এদিকে, পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফাঁকা জায়গায় যেখানে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে, সেখানে নোটিস দেওয়া হবে। যাঁরা জঞ্জাল ফেলছেন, তাঁদের জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি, নির্মীয়মান বাড়িতে জল জমা থাকলে নোটিস দেওয়ার পর ব্যবস্থা না নিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বিল্ডিং বিভাগ। ডেঙ্গি আক্রান্তদের জন্য খিদিরপুরের পুরসভার হাসপাতাল ও ইসলিময়া হাসপাতাল মিলিয়ে রাখা হচ্ছে ৩০০টি বেড।
আরও পড়ুন- ফের অভিষেককে সমন, বিচারপতি অমৃতা সিন্হার ভর্ৎসনার মুখে পড়েই কি তলব ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন