Mamata Banerjee: ডিভিসির জলে প্লাবিত একাধিক জেলা, 'ম্যান মেড বন্যা'র অভিযোগ মমতার
প্রশাসন সূত্রে খবর, ডিভিসি আজ জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে।
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: ডিভিসি-র ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক জেলা প্লাবিত। এই ঘটনাকে 'ম্যান মেড ফ্লাড' বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ডিভিসিকে এ প্রসঙ্গে তোপ দাগেন তিনি। মমতা বলেন যে, না জানিয়ে জল ছাড়ায় এই বন্যা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ডিভিসি আজ জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। মাইথন থেকে ৮০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে, ডিভিসি সূত্রে জানান হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির কারণেই ছাড়া হচ্ছে জল। তবে ডিভিসির দাবি, আজ বৃষ্টি না হলে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হতে পারে।
বৃষ্টি একটু কমার পর দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও কমানো হল। সেচ দফতর সূত্রে খবর, আজ দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হচ্ছে। সকাল ১০টা নাগাদ ১ লক্ষ ৮৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মূলত ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম বর্ধমানে প্রবল বৃষ্টির কারণে গতকালও জল ছাড়া হয়।
আরও পড়ুন, পুজোর সময় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের 'প্রবেশাধিকার নিষেধ', নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিকে, ডিভিসি জল ছাড়ায় হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বহু এলাকা প্লাবিত। দামোদরের বাঁধ টপকে আজ ভোর থেকে একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শিবানীপুরে ৫ জায়গায় দামোদরের বাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল। ১৫টি গ্রাম জলমগ্ন। দুর্গত এলাকা থেকে শুরু হয়েছে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ১২টি ত্রাণশিবির ও ৮০টি স্কুলকে দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে। উদ্ধারে ব্যবহার করা হচ্ছে ৪০টি নৌকা ও ৭টি স্পিডবোট। এই পরিস্থিতিতে উদয়নারায়ণপুরে সেনা নামানো হয়েছে। সেনা কর্মীদের সঙ্গে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও।
অন্যদিকে, উত্তর পশ্চিম ভারতে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী ৬ অক্টোবর, বুধবার থেকে। তবে পুজোর সময় বাংলা থেকে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নেবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এবারের বর্ষায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শুধু সেপ্টেম্বরেই কলকাতায় স্বাভাবিকের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে কম। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে জায়গায় এবার অনেক বিলম্বে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।