Electricity Bill: ৪৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বিল বকেয়া, স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার
Electricity Bill Pending: বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে একটি বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া পরে রয়েছে। সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানান হয় ওই চিঠিতে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কোনও স্বল্প মূল্য নয়, মোট ৪৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। আর এই বিপুল অঙ্কের বিল দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য, স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে একটি বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া পরে রয়েছে। সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানান হয় ওই চিঠিতে।
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার তরফে জানান হয়েছে এত টাকার বকেয়া বিল সংস্থার আর্থিক বোঝাও বৃদ্ধি করছে। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলাগুলিকে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন দফতরের বিশেষ সচিব। চিঠিতে জানান হয়েছে, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই সমস্ত বিল বকেয়া রয়েছে। বিল বকেয়ার তালিকায় সব থেকে বেশি টাকা বাকি রয়েছে দার্জিলিং জেলার। সেখানে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। হুগলি জেলায় অনাদায়ী বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
কী করে এত কোটি টাকা বকেয়া থাকে সে বিষয়েও স্বাস্থ্য কর্তারা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলেই খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বিধাননগর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কয়েক লক্ষ টাকা করে বিল বকেয়া রয়েছে বলে খবর। তবে দার্জিলিং এর পর বকেয়ার শীর্ষে নদিয়া জেলা, তারপর হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান।
‘ডব্লিউবিএসইডিসিএল’-র তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে, মূল বিলের অঙ্ক ৩২ কোটি ৯৯ লক্ষ। তবে টাকা না মেটানোয় ‘লেট পেমেন্ট সারচার্জ’ বাবদ অতিরিক্ত ১১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা যুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, শহরের জনবসতিপূর্ণ এলাকা মল্লিকবাজারে বন্ধ সিনেমা হলে আগুন লাগল এদিন। পার্ক শো হাউসে আগুন। পুরনো সিনেমা হলটি বহুদিনই বন্ধ ছিল। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫ টি ইঞ্জিন রয়েছে। চারিদিক ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। এখনও তিনতলায় আগুনের সম্ভাব্য উৎসে দেখা যাচ্ছে লেলিহান শিখা। গত ৪০ মিনিট ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। জ্বলছে বসার আসন। স্ক্রিন জ্বলে ছাই। ব্যালকনি ক্ষতিগ্রস্ত। বেসমিন্ট থেকে টর্চ ফেলে ফলে আগুন আর কোথায় কোথায় আছে দেখা হচ্ছে। কারণ কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে হলটি, ভেতরে অনেক জায়গাতেই ঘন অন্ধকার।