SSC Scam: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতার ইডি হেফাজতের নির্দেশ
Partha Arpita ED Custody: নিয়োগ মামলায় ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে।
কলকাতাঃ নিয়োগ মামলায় ৩ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতার ইডি হেফাজত। অর্থাৎ, আরও ১০ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) ইডি হেফাজত থাকতে হবে। উল্লেখ্য, পার্থ-অর্পিতার হেফাজতের আর্জি জানায় ইডি (ED)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-র জামিনের জন্য ইডির বিশেষ আদালতে আর্জি জানানো হয়। কম সময়ের ইডি হেফাজতের আবেদন করেন অর্পিতার আইনজীবী পার্থর ১৪ দিন, অর্পিতার ১৩ দিনের হেফাজত চেয়ে সওয়াল করে ইডি। তবে শেষ অবধি নিয়োগ মামলায় ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার থেকে ইডি অভিযানের পর তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এসএসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী-সহ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। একুশে জুলাইয় শহিদ দিবসে তৃণমূলের মেগা ইভেন্টের পর ইডি অভিযান স্বাভাবিকভাবেই ঝড় তোলে রাজ্যে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বিপুল পরিমাণ অর্থের পর্দাফাঁস হতেই ঘটনা খুব দ্রুত মোড় নেয় অন্যদিকে। রুদ্ধশ্বাস গতিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার এবং দলের তরফে কুণালের মন্তব্য বিতর্ক উসকে দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশে SSKM-এ ভর্তি করা হলেও তা ক্ষণস্থায়ী। সকালে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে দুপুর গড়াতেই পার্থ-র শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আজই ছেড়ে দেওয়া হবে, বলে জানায় এইমস। রিপোর্ট আসার আগে অবধি, 'গুরুতর সমস্যা ' ছিল বলে প্রকাশ্য়ে এসেছিল। তবে ভুবনেশ্বর এইমস-র, পার্থকে না ভর্তি করার সিদ্ধান্তে, পুরো ঘটনাটাই ফের নয়া মোড় নিয়েছে। তবে রাত বাড়তেই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রাতে এইমস-এ রেখে, কাল সকালেই পার্থকে কলকাতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন, মেয়েদের সম্মান করি, তবে সবাই এক নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, এদিন নজরুল মঞ্চে নাম না করেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমায় কালি ছেটালে মনে রাখবেন, আমার হাতেও আলকাতরা আছে। কোনও চাকরির ক্ষেত্রে একশোটা লোকের মধ্যে কেই কি নিজের লোককে চাকরি দেয় না? ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হল, ২০০ জন কমপ্লেন করল। সত্যি কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, আইন ব্যবস্থা নিক। এজেন্সি দিয়ে যদি মনে করো, কারও কোমর ভেঙে দেবে, দল ভেঙে দেবে, সরকার ভেঙে দেবে,অন্যায় প্রমাণিত হলে তার দায়িত্ব সে নেবে।