Higher Secondary Exam 2024 : অদম্য জেদ ! রবিবার মা হয়েই সোমবার উচ্চমাধ্যমিক দিলেন নাজমা
Uchcha Madhyamik 2024 : একদিন আগে জন্মেছে সন্তান। তাকে সামলেই পরীক্ষা দিতে বসে পড়লেন নাজমা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : উচ্চমাধ্যমিক ( HS Exam ) পরীক্ষার্থী নাজমা। পরীক্ষার বেশ কয়েকমাস আগেই সন্তানসম্ভবা হন তিনি। কিন্তু মনে জেদ, পরীক্ষা দেবেনই। বছর নষ্ট করা যাবে না। তাই সেই অবস্থাতেই করেছেন পড়াশোনা। নিয়েছেন পরীক্ষার প্রস্তুতি। অন্তস্বত্ত্বা অবস্তাতেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Pargana ) বনগাঁর বাসিন্দা তরুণী।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের ঘাট বাওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিরা গ্রামের বাসিন্দা নাজমা। স্বামী সাহিল মণ্ডল। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক ( Uchcha Madhyamik 2024 ) পরীক্ষায় বসেন নাজমা। প্রথম দিনের পরীক্ষার সময় ছিলেন এক্কেবারে সুস্থ। প্রথমপত্রের পরীক্ষাও দেন নির্বিঘ্নে। পরদিন, শনিবার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। পরিবারের লোক তড়িঘড়ি নাজমাকে নিয়ে পৌঁছন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই রবিবার তাঁর সন্তানের জন্ম হয় সি-সেকশন করেই। কোলে আসে পুত্র সন্তান ।
সন্তান জন্ম দেওয়ায় যারপরনাই খুশি নাজমা। কিন্তু তা বলে কিছুতেই পড়াশোনার বছরটা নষ্ট করতে নারাজ ছিলেন তিনি। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ডাক্তারদের কাছে বারংবার অনুরোধ থাকে নাজমা। শেষমেষ তাঁর অদম্য ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও পরিবার। বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নিয়ে নাজমার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। হাসপাতালের এইচডিইউ ইউনিটের মধ্যেই সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ফলে হাসপাতালের বেডে বসেই ইংরেজি পরীক্ষা দেন নাজমা । বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বাড়াই বলেন, সিজ়ার করবার পরে নাজমা ডাক্তারদের কাছে আবেদন করতে থাকে পরীক্ষা দেবার জন্য । আমরা সেই মতো প্রশাসনিক স্তরে কথা বলে নাজমার পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।
পাশে আছে নাজমার পরিবারও। তাঁর শাশুড়ি জানান, 'নাতি হওয়ায় আমরা এমনিতেই খুশি। বৌমা পরীক্ষা দিচ্ছে তাতেও আমরা খুশি, পাস করলে আরও খুশি হব।'
১৬ ফ্রেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক। পরীক্ষা শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৯০ হাজার
গতবারের থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬৩ হাজার। পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সকাল ৯টা ৪৫ টায়। চলছে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষা চলছে মোট ২ হাজার ৩৪১টি কেন্দ্রে। রাজ্যে স্পর্শকাতার কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৬ টি। অন্যান্য বারের মতো এবারও পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার।
আরও পড়ুন : 'আমাকে ওরা মার্ডার করে দিত' নিশুতি রাতে অভিযোগকারিনীর বাড়িতেই 'পুলিশের পোশাকে হামলা'