Presidency University: র্যাগিং বিরোধী প্রচারাভিযান ঘিরে অশান্ত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, ২ সংগঠনের মধ্যে হাতাহাতি
Anti Ragging Campaign: সএফআইয়ের অভিযোগ, পোস্টারিং করার সময় আইসি-র সমর্থকরা বেশ কিছু প্রাক্তনীদের সঙ্গে নিয়ে এসে পোস্টার ছিড়ে দেয়। কালি লেপে দেওয়া হয় পোস্টারে।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হল কীভাবে? নেপথ্যে কি র্যাগিং (Ragging)? পুলিশি (Police) জিজ্ঞাসাবাদে এবং একাধিকের বয়ানে যেন বারংবার সামনে আসছে এই তথ্য। বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বৈঠক বসেছিল। কিন্তু সেখানে ডব্লটিআইয়ের বিরুদ্ধে এসএফআইয়ের উপর হামলার অভিযোগে অশান্তি ছড়ায়।
অন্যদিকে, র্যাগিং বিরোধী প্রচারাভিযান ঘিরে এবার উত্তেজনা ছড়াল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University)। এসএফআইয়ের তরফ থেকে বুধবার ক্যাম্পাসে প্রচারাভিযান চালানোর সময় তৈরি হয় উত্তেজনা। এসএফআইয়ের অভিযোগ, পোস্টারিং করার সময় আইসি-র সমর্থকরা বেশ কিছু প্রাক্তনীদের সঙ্গে নিয়ে এসে পোস্টার ছিড়ে দেয়। কালি লেপে দেওয়া হয় পোস্টারে। হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয় ২ ছাত্র সংগঠনের মধ্যে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে আইসি-র তরফে।
এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর চার দিন পর, র্যাগিং মোকাবিলায় নতুন করে সার্কুলার জারি করল রাজ্য সরকার। মূলত তুলে ধরা হয়েছে, এক যুগ আগের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাঘবন কমিটির সুপারিশ ও UGC-র গাইডলাইনের কথা। ড্যামেজ কন্ট্রোলে বাধ্য হয়ে পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন, ভয়াবহ রাতে বিবস্ত্র করে ব়্যাগিং ছাত্রকে, আবার প্ল্যান করে তাদেরই ফোন ডিন অফ স্টুডেন্টসকে !
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-রোগ সারাতে প্রায় দেড় দশক আগেই তৈরি হয়েছিল ওষুধ। কিন্তু, দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে যে সেই ওষুধ প্রয়োগই হয়নি, তা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পড়ুয়া মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা।
এদিকে, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে একে একে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রথমে ৩। আর এবার আরও ৬। ৬ জনেরই ২৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। ধৃত ৯ জনের মধ্য়ে ৪ প্রাক্তনী ও ৫ জন পড়ুয়া। কিন্তু এদের সবাই থাকতেন হস্টেলে। ধৃত ৬ জনের মধ্যে যে ৩ জন প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন - সপ্তক কামিল্যা। অসিত সর্দার। সুমন নস্কর। মহম্মদ আরিফ। মহম্মদ আসিফ আফজল আনসারি এবং অঙ্কন সরকার। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, ঘটনার পরই কলকাতা ছেড়ে বাড়ি চলে যান অসিত, সপ্তক ও সুমন।বাকিরা ছিলেন হস্টেলে। ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন ও সপ্তকের ল্যাপটপ সিজ করা হয়েছে। ঘটনার সময় এঁদের উপস্থিত থাকার প্রমাণ মিলেছে।