National Education Policy : 'ক্লাস টু পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা নয়', জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামোর খসড়ায় মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে কী সুপারিশ ?
National Curriculum Framework : এককথায় NCF-এ বলা হচ্ছে, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিত যে তা যেন বাচ্চাদের কাছে অতিরিক্ত বোঝা না হয়ে ওঠে।
নয়াদিল্লি : সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। তার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে শৈশব থেকেই পড়াশোনায় অত্যধিক চাপ দেওয়া হচ্ছে বাচ্চাদের। যার ফলে, বাচ্চার উপর প্রথম থেকেই অতিরিক্ত বোঝা। যা অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে ওঠে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিকাঠামো (ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক)-র খসড়ায় বিশেষ সুপারিশ করা হল। সেই অনুয়ায়ী, ক্লাস টু পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার মাধ্য়মে মূল্যায়ন করা উচিত নয়। ক্লাস থ্রি অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত। অর্থাৎ এককথায় NCF-এ বলা হচ্ছে, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিত যে তা যেন বাচ্চাদের কাছে অতিরিক্ত বোঝা না হয়ে ওঠে। এই পরিকাঠামো জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসারে তৈরি করা হচ্ছে।
সেই অনুযায়ী, ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের (ফাউন্ডেশনাল স্টেজ) মূল্যায়নের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হচ্ছে, বাচ্চাকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা এবং শিশু শেখার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যে প্রত্নবস্তু (আর্টিফ্যাক্টস) তৈরি করেছে তা বিশ্লেষণ করা। খসড়ায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন স্টেজে (প্রি-স্কুল থেকে ক্লাস টু) মূল্যায়নের প্রক্রিয়া হিসাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা অনুচিত।
শিশুদের শেখার বৈচিত্র্যের উপর মূল্যায়ন হওয়া উচিত। বিভিন্নভাবে একজন বাচ্চা শেখে এবং সেই শেখা জিনিসের প্রয়োগ করার ধরনও ভিন্ন তাদের। একজন শিশু কতটা শিখছে বা যোগ্যতা অর্জন করছে তার মূল্যায়ন করার অনেক উপায় থাকতে পারে। মূল্যায়ন রেকর্ডিং বা ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে করা উচিত। প্রামাণ্য নথির মাধ্যমে শিশুদের অগ্রগতি বর্ণনা করা এবং বিশ্লেষণ করা উচিত। এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শিশুর জন্য যেন কোনও অতিরিক্ত বোঝা না হয়ে ওঠে। মূল্যায়নের সরঞ্জাম এবং প্রক্রিয়া এমনভাবে ডিজাইন করা উচিত যাতে তা শিশুর শেখার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা যায়।
গত বৃহস্পতিবারই শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে এনসিএফ-এর খসড়া-পূর্ববর্তী সুপারিশ প্রকাশ করা হয়েছে। তা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও পণ্ডিতদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। এই খসড়াটি তৈরি করেছে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল। তাতে বলা হয়েছে, ক্লাস থ্রি থেকে ফাইভ অর্থাৎ প্রিপেরটরি স্টেজে লিখিত পরীক্ষা চালু করতে হবে। শেখার সময় বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে যা মূল্যায়নের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। ছাত্রদের কাজের মাধ্যমে তাদের অগ্রগতি দেখে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে পোর্টফোলিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI