Panchayat Elections 2023: মালদায় তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত কংগ্রেস, একসপ্তাহে রাজ্যে ভোটের বলি ৬
Malda News: এই ঘটনায় সরাসরি কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
করুণাময় সিংহ, কালিয়াচক: মনোনয়ন পর্ব পেরিয়ে চলছে স্ক্রুটিনি (Panchayat Elections 2023)। তাতেও রক্তপাত এড়ানো যাচ্ছে না। মালদার (Malda News) কালিয়াচকে এবার খুন হলেন তৃণমূল (TMC) কর্মী, যিনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানও। তাঁকে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ভোটের বলি হলেন ছয় জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই কর্মীকে প্রার্থী করে তৃণমূল। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা শেখ নামের ওই ব্যক্তি। সেই সময় বাঁশ, লাঠিসোঁটা, লোহার রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। সুজাপুরের প্রাক্তন গ্রাম প্রধানও তিনি। মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে তৃণমূল।
এই ঘটনায় সরাসরি কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেছে বেছে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাতে অনেক উপদ্রবকারীরা টিকিট পাননি। তৃণমূলে থেকে তৃণমূলকে নষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন ওঁরা। টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে তাই কংগ্রেসে যোগ দেন। শনিবার তাঁরই মোস্তাফাকে খুন করেছেন। যদিও এই খুনে তাদের দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি কংগ্রেসের। দলের নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন,"তৃণমূলের দলের অন্দরেই খেউড় চলছে। এর জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো উচিত।"
আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'অ-আ শেখাতে চেয়েছিলাম রাজ্যপালকে, উনি বরং কানে বিড়ি গুঁজুন,' বেনজির আক্রমণ মদনের
এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই লাগাতার অশান্তি, হিংসা এবং রক্তপাতের সাক্ষী হয়ে আসছে রাজ্য। খড়গ্রাম, ভাঙড় এবং নবগ্রামের পর এবার কালিয়াচকে খুনের ঘটনা সামনে এল। সাবিনার অভিযোগ, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে তৃণমূল।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে লাগাতার হিংসা, খুনোখুনির ঘটনা যেভাবে চোখে পড়েছে, তাতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই মর্মে আবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। লাগাতার খুনোখুনিতে তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।