(Source: Poll of Polls)
Promita Chakraborty Birthday: মায়ের হাতের পায়েস, পছন্দের কেক, প্রমিতার জন্মদিনে রুদ্রজিতের একরাশ সারপ্রাইজ
Promita Chakraborty: 'আমি চিরকালই পরিবার ভালবাসি। তাই বিশেষ এই দিনগুলো পরিবারকে নিয়ে কাটানো আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।'
কলকাতা: আগের দিন শ্যুটিং শেষ হয়েছিল একটু রাত করেই। বাড়ি ফিরে যাওয়াই কথা, কিন্তু হঠাৎ তাঁকে ক্যাফেতে নিয়ে গেলেন রুদ্রজিৎ। সেখানে কোনও আয়োজন নেই, নিছক গল্প, আড্ডা, একটু সময় কাটানো। বেশ অবাকই হয়েছিলেন প্রমিতা। কিন্তু বাড়ি ফিরেই অবাক। রুদ্রজিৎ নয়, জন্মদিনের কেক, মোমবাতি থেকে শুরু করে ঘর সাজানো... সবটাই করেছেন তাঁর শাশুড়িমা আর বাড়ির মানুষেরা। এখানেই শেষ নয়, জন্মদিনের গোটা দিনটা ভরা রইল একের পর এক চমকে। সেইসব ঘটনাই এবিপি লাইভের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বার্থ ডে গার্ল প্রমিতা চক্রবর্তী (Promita Chakraborty)।
কেমন করে কাটল জন্মদিনটা? প্রমিতা বলছেন, 'জন্মদিনের আগের দিন শ্যুটিং ছিল আমাদের। সেখান থেকে আমায় একটা ক্যাফেতে নিয়ে যায় রুদ্র (রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়)। পরে বুঝেছিলাম, বাড়িতে সবাই জন্মদিনের পরিকল্পনা আর আয়োজন করেছিলেন বলেই আমায় বাড়ির বাইরে রাখতে চেয়েছিল ও। রাতে বাড়ি ফেরার পরেই ব্লাস্ট.. ঘর সাজিয়ে কেক নিয়ে সব্বাই হাজির। ভীষণ অবাক হয়েছিলাম আর ভাল লেগেছিল। সমস্ত পরিকল্পনা ছিল রুদ্ররই, কিন্তু নিখুঁতভাবে সেই অনুযায়ী সাজিয়েছেন মায়েরা। এরপর জন্মদিনের সকালে একটা শ্যুট ছিল। আমার পছন্দের রঙের কেক, বেলুনে রুদ্র সাজিয়েছিল গোটা সেটটা। মেকআপ কিটের আদলে কেক এনেছিল রুদ্র, সেটা আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। প্রতিবার শ্যুটটা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, এবার সেটা করেছিল রুদ্র। আর দারুণ সুন্দর হয়েছিল সবটা।'
এখানেই শেষ নয়, প্রমিতা বলে চললেন, 'সন্ধের দিকে আমরা আমাদের বেলঘড়িয়ার বাড়িতে আসি। ওখানে বাবা-মা থাকেন। জন্মদিনের দিনটা ওঁদের সঙ্গেও দেখা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমি ভাবিনি ওরাও আমার জন্য সারপ্রাইজ পরিকল্পনা করেছিল। কেক থেকে শুরু করে পায়েস, সবই আয়োজন করেছিল বাবা-মা। দিনের শেষটা কাটে ওখানেই। গোটা পরিকল্পনার মধ্যে এখানেও ছিল রুদ্র। সব মিলিয়ে একটা দুর্দান্ত দিন কাটল। আমি চিরকালই পরিবার ভালবাসি। তাই বিশেষ এই দিনগুলো পরিবারকে নিয়ে কাটানো আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।'
View this post on Instagram