Captain Anshuman Singh: ৫০ বছর আর একসঙ্গে কাটানো হল না, স্বামীর মরণোত্তর কীর্তিচক্র হাতে স্মৃতি আঁকড়ে স্ত্রী
Memories By Captain Anshuman Singh's Wife: সিয়াচেনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আগের রাতে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছিল দুজনের। পরদিন সকালেই অংশুমানের স্ত্রীয়ের কাছে আসে দুঃসংবাদ।
Memories By Captain Anshuman Singh's Wife: মরণোত্তর কীর্তিচক্র সম্মানে ভূষিত করা হল প্রয়াত ভারতীয় সেনার ক্যাপটেন বীর অংশুমান সিংকে। তাঁর তরফে এই সম্মান গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী ও মা। পঞ্জাব রেজিমেন্টের ২৬তম ব্যাটেলিয়নের ক্যাপ্টেন ছিলেন অংশুমান (Anshuman Singh)। গত বছর সিয়াচেনে আর্মি ক্যাম্পে একটি অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান তিনি। সহযোদ্ধাদের রক্ষা করতে গিয়েই নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেন বীর অংশুমান(Captain Anshuman Singh)। তাঁর সেই উৎসর্গকে সম্মান জানিয়ে এই বিশেষ সম্মানে তাকে ভূষিত করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
১৮ জুলাই রাতে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলা
এই দিন সম্মানপ্রাপ্তির সময় অংশুমানের মা ও স্ত্রী, দুজনেই ছিলেন দুঃখে ভারাক্রান্ত। অনুষ্ঠান শেষে অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি জানান, ওই ঘটনার আগের আগে দিন রাতের কথা। দিনটি ছিল ১৮ জুলাই। রাতে তাঁর সঙ্গে অংশুমানের ফোনে অনেকটা সময় কথা হয়। ৪ মাস বিয়ে হয়েছিল দুজনের। তার আগে দীর্ঘ প্রেম। স্মৃতি বলেন, তাঁদের মধ্যে আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে বহু কথা হয়। একটি বাড়ি বানানো ছাড়াও সন্তান নেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা করেছিলেন দুজনে। পর দিন যখন স্মৃতির কাছে খবর আসে অংশুমান দগ্ধ হয়েছেন, স্তব্ধ হয়ে যান তিনি। স্মৃতির কথায়, সাত-আট ঘন্টা তারা বা তাঁর পরিবার কেউই এই সত্যি মেনে নিতে পারেননি।
প্রথম আলাপ আজও অমলিন
কলেজেই প্রথম আলাপ হয়েছিল দুজনের। স্মৃতি জানান, অত্যুক্তি না করলেও তার প্রথম দেখাতেই ভাল লেগে যায় অংশুমানকে। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তাদের আলাপ হয়। সেখান থেকে মেডিকেল পড়তে চলে যান অংশুমান। এর পর দীর্ঘ আট বছর ধরে তাদের প্রেম চলে। ২০২৩ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের চার মাসের মাথাতেই ঘটে যায় সিয়াচেনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
VIDEO | Captain Anshuman Singh was awarded the Kirti Chakra (posthumous). It was an emotional moment for his wife Smt Smriti who accepted the award from President Droupadi Murmu.
— Press Trust of India (@PTI_News) July 6, 2024
"I would die with a brass on my chest. I would not die an ordinary death": A shattered but proud… pic.twitter.com/NyhcyUQmA3
ঠিক কী ঘটেছিল সিয়াচেনে ?
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে আর্মড ফোর্সের মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। পোস্টিং ছিল সিয়াচেনে। সেখানেই একটি আর্মি ক্যাম্পে ভোরবেলা আগুন লেগে যায় ১৯ জুলাই। ওই সময় সহকর্মীদের বাঁচাতে নিজের প্রাণের পরোয়া করেননি। সহকর্মী ও কিছু জরুরি যন্ত্রপাতি, অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়েই গুরুতর দগ্ধ হন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।