Netaji Subhas Chandra Bose Jayanti LIVE: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মোদির সামনেই মমতার উদ্দেশ্যে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান, ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখলেন না মুখ্যমন্ত্রী, শুরু প্রবল রাজনৈতিক তরজা
Netaji Subhas Chandra Bose Jayanti LIVE Updates: সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলতে উঠলে ওঠে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান। সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা।
LIVE
Background
কলকাতা: সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলায় নেতাজি মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ২টি গ্যালারির উদ্বোধন করবেন তিনি। সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে খবর, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
১৮৯৭ থেকে ২০২১। আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী।সেই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দু’টি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই দিন দুপুর সাড়ে তিনটেয় বিমানে কলকাতা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে যাবেন রেস কোর্সে। রেস কোর্স থেকে যাবেন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। জাতীয় গ্রন্থাগারে নেতাজিকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি।বিকেল ৪টে ২৮-এ প্রধানমন্ত্রীর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পৌছনোর কথা। সেখানে উদ্বোধন করবেন ‘নির্ভীক সুভাষ’ নামে স্থায়ী একটি গ্যালারির। পাশাপাশি, অন্যান্য বিপ্লবীদের নিয়ে ‘বিপ্লবী ভারত’ নামে আর একটি গ্যালারিরও উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি।২৪ তারিখ থেকে গ্যালারি ২টি খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দেড় ঘণ্টা থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর।বিকেল ৫টা ৪৬-এ ভাষণ দেবেন তিনি। সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নাম। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তাঁর বক্তৃতার জন্য ৫ মিনিট সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে, ফের এক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও নবান্ন সূত্রে এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।শনিবার ভিক্টোরিয়ায় আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ঊষা উত্থুপ, পাপন, সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিত্ সহ বহু শিল্পী।
সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১২৫টি স্কুলের পড়ুয়ারা অনুষ্ঠানে অংশ নেবে নেতাজির বেশে।
এদিন রাতেই দিল্লি উড়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রীরাম স্লোগান', 'সমর্থন নয়', মন্তব্য শমীকের, নিন্দায় সরব তৃণমূল-সিপিএম
ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগান এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদকে সমর্থন করে বিজেপিকে কটাক্ষের নিশানা বানিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং মহাসচিব একযোগে আক্রমণ করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। এদিন যে পক্ষ থেকে স্লোগান তোলা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজনের দাবি, 'রাম আমাদের ভগবান। তাই স্বাগত জানাতে স্লোগান তুলেছি। এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান?' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী উঠলে জয় শ্রীরাম করা যায় না। এই শিষ্টাচার ওরা জানে না।' বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'এই স্লোগান সমর্থনযোগ্য নয়।' এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির সমালোচনায় সরব সিপিএম। অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী নিন্দা জানিয়েছেন এই ঘটনার।
ভিক্টোরিয়ার ঘটনায় সমালোচনায় সরব কংগ্রেস। দলের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, 'সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া ঠিক হয়নি। এটা কোনও দলীয় অনুষ্ঠান নয়।' মমতার পাশে দাঁড়িয়ে এভাবেই সমালোচনা করলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতা দিতে উঠলে ভেসে এল 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান, বিরক্তি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে না গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে অপমান। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে এক কাজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মনীষীদের এই অপমান মেনে নেবে না বাংলা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে আক্রমণ করে ট্যুইট করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এই প্রসঙ্গে খগেন মুর্মু বলেন, 'ওর বক্তব্য রাখা উচিত ছিল। জয়শ্রী রাম একটা ধ্বনি। এটা কাউকে লক্ষ্য করে বলা না।'
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের মধ্যেই ভিক্টোরিয়ায় ছন্দপতন। এদিন তাঁর বক্তব্যের আগেই জয় শ্রী রাম স্লোগান ওঠে। আর এতেই প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কোনও বক্তব্য না রেখেই মঞ্চ ছাড়েন। যদিও এতে অপরাধ দেখছে না বিজেপি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, 'এটা কী ধরণের রাজনীতি।' যদিও তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'কৈলাস বিজয়বর্গীয় অপসংস্কৃতির ধারক-বাহক। তিনি বাংলার আত্মাকে চেনেন না।' তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,'এটা কে বলছে?' কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। এদিন কটাক্ষ করেন পার্থ।