Viral News: ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর সঙ্গত্যাগ, অভিযুক্ত স্বামীকে 'পাষণ্ড' বলল আদালত, কারাবাসের সাজা শোনানো হল
China News: অভিযুক্ত স্বামীকে 'পাষণ্ড' বলল আদালত।
নয়াদিল্লি: মারণ রোগে আক্রান্ত নববধূর সঙ্গত্যাগ। চিনে জেল হল অভিযুক্ত স্বামীর। ওই ব্যক্তিকে আদালত 'পাষণ্ড' বলে উল্লেখ করেছে। স্ত্রীর প্রতি তাঁর আচরণ অবহেলাপূর্ণ, স্ত্রীর উপর তিনি মানসিক অত্যাচার চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করে আদালত। স্বামী হিসেবে স্ত্রীর প্রতি কোনও কর্তব্য পালন করেননি বলে জানানো হয়। ওই ব্যক্তিকে এক বছর কারাবাসের শাস্তিও দেয় আদালত। কিন্তু স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে আদালতের বাইরে মীমাংসা করে নেন অভিযুক্ত। ফলে তাঁর সাজা বাতিল হয়েছে। (Viral News)
অভিযুক্তের নাম জানা না গেলেও, তাঁর পদবী ফেং বলে জানা গিয়েছে। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আসে এবং ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা যায়, ২০২২ সালে ওয়াং পদবীর এক তরুণীকে বিবাহ করেন ফেং। মাস দুয়েক পর ওয়াংয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। অবস্থা গুরুতর বলে চিহ্নিত করেন চিকিৎসকরা। (China News)
গোড়ার দিকে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ান ফেং। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই কাজের বাহানায় বাড়ি ছাড়েন। ওয়াং এবং তাঁর পরিবারের তরফে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও, সাড়া দেননি ফেং। কোনও দায়িত্ব পালন করতে এগিয়ে আসেননি। এমন পরিস্থিতিতে ধারদেনা করে চিকিৎসা শুরু করেন ওয়াং। কিন্তু সব লড়াই ব্যর্থ হয়। ২০০ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য ফেংকেই দায়ী করেন ওয়াংয়ের পরিবারের লোকজন। স্বামী হিসেবে স্ত্রীর প্রতি তিনি দায়িত্ব পালন করেননি বলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারের সঙ্গে যখন লড়াই করছিলেন ওয়াং, সেই সময় দু'-দু'বার ফেং বিবাহ বিচ্ছেদ চান বলেও অভিযোগ। মৃতার বাবার দাবি, ফোন, মেসেজের জবাব দিতেন না ফেং। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি।
মৃতার পরিবারের তরফে মামলা দায়ের হলে আদালত সমন পাঠায় ফেংকে। সেখানে বিচারক তাঁকে 'পাষণ্ড' বলে উল্লেখ করে। এক বছরের সাজা শোনায়। এমন পরিস্থিতিতে মৃতার পরিবারের সঙ্গে আদালতের বাইরে মিটমাট করে নেন ফেং। তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এর ফলে তাঁর শাস্তি বাতিল হয়। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিনে। ফেংয়ের তীব্র নিন্দা করেছেন নেটিজেনরা।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও চিনে এমন ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে হুনান প্রদেশে অসুস্থ স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান স্বামী। হাজার অনুনয় বিনয় করলেও বাড়ি ফিরতে রাজি হননি তিনি। স্ত্রীর চিকিৎসার খরচও বহন করেননি। এমনকি স্ত্রী মারা গেলেও বাড়ি ফেরেননি। তাঁকেও কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত।