Delhi Online Class: বন্ধ হতে পারে স্কুল? অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশিকা দিল্লি সরকারের
যদিও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক কাজের জন্য স্কুলে আসেত হতে পারে। প্রি-বোর্ড পরীক্ষা, মিড-টার্ম পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা, প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারা।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল? দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্তে উঠছে সেই প্রশ্নই। আজ নির্দেশিকা জারি করে দিল্লি সরকার জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল। দিল্লি ডিরেক্টরেট অব এডুকেশন জানিয়েছে, নতুন শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে আসতে হবে না।
যদিও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক কাজের জন্য স্কুলে আসেত হতে পারে। প্রি-বোর্ড পরীক্ষা, মিড-টার্ম পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা, প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে ডাকা হবে না। পরবর্তী নির্দেশিকা পর্যন্ত এই নিয়মই বহাল থাকবে। আজ থেকেই শিক্ষকদের ডিজিটাল মাধ্যমে পঠনপাঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের কোভিড মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত বছর মার্চ মাসে করোনার কোপে বন্ধ হয়ে যায় রাজধানীর সব স্কুল। এরপর দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে গত বছর অক্টোবর মাসে রাজ্যে স্কুল খোলে। শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস খোলার অনুমতি দেয় দিল্লি সরকার। কিন্তু ফের দেশজড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। আর তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে নতুন পদক্ষেপ নিল দিল্লি সরকার। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯০। মৃতের সংখ্য়া ৯। সুস্থতার সংখ্যা ১ হাজার ১২১। মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৯৮।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনায় ফের বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯২৭ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষ ২১ হাজার ৬৬৫। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৮৩ জন।