Henley Passport Index: সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট কোন দেশের, সামনে এল তালিকা, চিনের থেকে পিছিয়েই ভারত
Most Powerful Passports: পাসপোর্টের নিরিখে কোন দেশের নাগরিক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পান, কোন দেশের পাসপোর্ট পৃথিবীর সর্বত্র গৃহীত, সেই নিয়ে প্রতি বছরই রিপোর্ট আসে।
নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা থেকে অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি, প্রতিযোগিতায় রয়েছে পৃথিবীর তাবড় দেশ। সেই তালিকায় আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার মতো তাবড় দেশ যেমন রয়েছে, তেমনই উন্নয়বশীল দেশগুলিও একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যে। সেই আবহেই নতুন বছরের শুরুতে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট অধিকারী দেশের তালিকা সামনে এল, এবছর যাতে বড় ধরনের রদবদল চোখে পড়ছে। শক্তিশালী পাসপোর্টের নিরিখে ভারতের অবস্থান কোথায়, জানা গেল তা-ও। (Henley Passport Index)
পাসপোর্টের নিরিখে কোন দেশের নাগরিক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পান, কোন দেশের পাসপোর্ট পৃথিবীর সর্বত্র গৃহীত, সেই নিয়ে প্রতি বছরই শক্তিশালী পাসপোর্ট অধিকারী দেশের তালিকা প্রকাশ করে Henely Passport Index. বিগত কয়েক বছর ধরে ওই তালিকায় এশিয়ার দাপট চোখে পড়েছে। তবে ২০২৪ সালের যে সূচক সামনে এনেছে তারা, তাতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং স্পেন উপরে উঠে এসেছে। (Most Powerful Passports)
গত পাঁচ বছরে সিঙ্গাপুর এবং জাপান, এই দুই দেশের বাসিন্দারাই পৃথিবীর সর্বত্র মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়িয়েছেন। অন্য সব দেশের তুলনায় ভিসা অন অ্যারাইভালের সুবিধা তাঁরাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন। অর্থাৎ ভিন্ দেশে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে আগে থেকে ভিসা করানোর প্রয়োজনই পড়েনি এই দুই দেশের বাসিন্দাদের। গন্তব্যে পৌঁছে ভিসা করানো বা ভিসা ছাড়া সবচেয়ে বেশি দেশে প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু Henely Passport Index 2024-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট অধিকারী হিসেবে গন্য হয়েছে ছয়টি দেশ। ২২৭টি দেশের মধ্যে ১৯৪টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন এই ছয় দেশের নাগরিকরা। এই ছয়টি দেশের মধ্যে, চারটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালি। সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট অধিকারী দেশ হিসেবে গন্য হয়েছে এশিয়ার দুই দেশ, সিঙ্গাপুর এবং জাপান। গত পাঁচ বছর ধরে এই তালিকায় শীর্ষ স্থানাধিকারী হিসেবে আধিপত্য ছিল তাদের। এবছর হিসেব পাল্টে গেল।
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট অধিকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন তাদের নাগরিকরা। ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন সেই দেশের নাগরিকরা।। আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ উঠে, এ বছর চতুর্থ স্থান দখল করেছে ব্রিটেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বেলজিয়াম, লাক্সেমবার্গ, নরওয়ে, পর্তুগালও। এই সব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া ১৯১টি দেশে প্রবেশ করতে পারেন। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্রিস, মাল্টা, সুইৎজারল্যান্ড, ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি রয়েছে এই সব দেশের নাগরিকগদের।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে, ১৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি। সপ্তম স্থানে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা এবং হাঙ্গেরি। তাদের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া ১৮৮টি দেশে প্রবেশ করতে পারেন। অষ্টম স্থানে রয়েছে এস্টোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, ১৮৭টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি। স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া নবম স্থানে রয়েছে। ভিসা ছাড়া ১৮৬টি দেশে প্রবেশ করতে পারে তারা। দশম স্থানে থাকা আইসল্যান্ড ১৮৫টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারে। তালিকায় অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির। ১১তম স্থানে রয়েছে তারা। পৃথিবীর ১৮৩টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি রয়েছে তাদের।
এই তালিকায় ৮০তম স্থানে রয়েছে ভারত। পৃথিবীর ৬২টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি রয়েছে ভারতীয়দের। উজবেকিস্তানও ৮০তম স্থানে রয়েছে। ভারতের পড়শি দেশ চিন ৬২তম স্থানে, ভুটান ৮৭তম স্থানে, মায়ানমার ৯২তম স্থানে, শ্রীলঙ্কা ৯৬তম স্থানে, বাংলাদেশ ৯৭তম স্থানে, নেপাল ৯৮তম স্থানে, পাকিস্তান ১০১তম স্থানে, আফগানিস্তান ১০৪তম স্থানে রয়েছে। International Air Transport Association (IATA)-র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ওই তালিকা তৈরি হয়।