![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Goa Poll 2022: নেই অশান্তি-দেওয়াল দখলের লড়াই, শান্ত গোয়া তৈরি হচ্ছে ভোটের জন্য
বাংলায় যখন দেওয়াল দখলের রীতিমতো লড়াই চলে, তখন সম্পত্তি রক্ষার জন্য দ্য গোয়া প্রিভেনশন অফ ডিফেসমেন্ট অফ প্রপার্টি অ্যাক্ট, ১৯৮৮-র কড়া বাঁধুনি আছে আরব সাগরের তীরে।
![Goa Poll 2022: নেই অশান্তি-দেওয়াল দখলের লড়াই, শান্ত গোয়া তৈরি হচ্ছে ভোটের জন্য Goa Assembly Election 2022 No Graffiti on walls or political clash the cool state is preparing raising its voting temperature Goa Poll 2022: নেই অশান্তি-দেওয়াল দখলের লড়াই, শান্ত গোয়া তৈরি হচ্ছে ভোটের জন্য](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/01/20/84693a5311879761372e204841eb0487_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, পানাজি (গোয়া) : রাজনৈতিক অশান্তি (Political Clash), বিধি ভঙ্গ থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা, বাংলায় (West Bengal) ভোট আর অস্থিরতার ছবি কার্যত সমার্থক। যেখানে বিধানসভা ভোটের মুখে গোয়ায় (Goa Assembly Election 2022) একেবারে অন্য ছবি। অশান্তি নেই। দেওয়াল দখলের লড়াই নেই। পতাকা-ব্যানার-ফেস্টুনের জঙ্গল নেই। শান্ত গোয়া তৈরি হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ভোটযুদ্ধের জন্য।
গণতন্ত্রের উৎসব না দখলের যুদ্ধ? ভোটের প্রচার নাকি ক্ষমতার আস্ফালন? এ বাড়ি, ও বাড়ির দেওয়াল, সরকারি অফিসের গায়ে স্লোগান ভরা রং চংয়ে দেওয়াল লিখন, ল্যাম্প পোস্ট ভরানো পোস্টার-ব্যানার, আসলে এটাই বাংলায় ভোটের লড়াইয়ের চির চেনা ছবি! আর ভোটমুখী গোয়ায়? কলকাতায় যখন ব্যানার, পোস্টার, হোর্ডিং, তখন গোয়ায় কিছু নেই, মাইলের পর মাইল গিয়েও চোখে পড়ল না কোনও ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন। ফুটপাথে দোকানদার নেই। দোকানকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা নেই। আড্ডা নেই। একেবারে অন্যরকম ছবি।
১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। হাইভোল্টেজ ভোটে বাকি মাত্র কয়েকদিন। কিন্তু গোয়ার রাজনৈতিক প্রচার চলছে কার্যত নিঃসাড়ে। কংগ্রেস হোক কিংবা বিজেপি, তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি প্রচার রয়েছে। একদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরের পরের পর বৈঠক। সাংবাদিক সম্মেলন।কিংবা গোয়ায় আম আদমি পার্টির, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা, পানাজি, মীরামার থেকে ওল্ড গোয়ার নানা জায়গায় হেঁটে, গাড়িতে করে ঘুরে বেড়িয়েও কোনও দলেরই রাজনৈতিক রণবাদ্য শোনা গেল না। ভোট এলে কলকাতার রাস্তাঘাট যেমন পোস্টার ব্যানারে ভরে ওঠে, গোয়ায় তেমনটা নয়। বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে গুটিকয়েক হোর্ডিং নজরে পড়লেও, সেগুলি বিজ্ঞাপনের!
করোনা আবহে এ রাজ্যে চার পুরসভার ভোটের প্রচারে বঙ্গে যখন বারবার বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠছে, গোয়ায় খাস বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু সেরকম অভিযোগের কোনও ছড়াছড়ি নেই। গোয়ায় এই সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়নি। সেখানকার বাসিন্দা, রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে টানাপোড়েন সেভাবে রাস্তার মোড়ে নেমে আসে না। বাংলায় যখন দেওয়াল দখলের রীতিমতো লড়াই চলে, তখন সম্পত্তি রক্ষার জন্য দ্য গোয়া প্রিভেনশন অফ ডিফেসমেন্ট অফ প্রপার্টি অ্যাক্ট, ১৯৮৮-র কড়া বাঁধুনি আছে আরব সাগরের তীরে।
তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধও আছে। গোয়ায় সেই সমস্ত বিধি মেনে চলতে দেখা যায় প্রায় রাজনৈতিক দলের সদস্য-সমর্থকদের। তাই সংঘাত থাকলেও, সেটা রাস্তাঘাটে নেমে আসে না। এটাই গোয়ার সংস্কৃতি।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসকে ভোট মানে বিজেপিকে শক্তিশালী করা, গোয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)