Bankura News: হাওড়া থেকে সরাসরি যাওয়া যাবে বিষ্ণুপুর, মা সারদার জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা
District News: রেলপথে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তথা রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটীকে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়।

তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটীতে গড়াল রেলের চাকা। আজ কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন জয়রামবাটীর পবিত্র মাটি ছুঁতেই, ট্রেনকে ঘিরে উপচে পড়ল এলাকার হাজার হাজার মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছাস আর আবেগ। অন্যদিকে এদিনই কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির ট্রেন যাত্রার প্রসঙ্গ লোকসভায় তুলে দ্রুত ওই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবী জানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
রেলপথে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তথা রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটীকে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটী হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে রেল প্রকল্পটি। ধাপে ধাপে প্রকল্পের কাজ শেষ করে কখনও বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত আবার কখনো সেই রেলপথ সম্প্রসারিত করে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপর থেকেই ভাবাদিঘি সমস্যার কারনে স্লথ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। অত্যন্ত ধীর গতিতে হলেও চলতি বছরের গোড়াতেই ময়নাপুর থেকে জয়রামবাটী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
নতুন পথে গোপীনাথপুর ও জয়রামবাটী দুটি স্টেশন তৈরী করা হয়। তারপরেই রেলের তরফে ঘোষণা করা হয় মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে। আর তারই প্রক্রিয়া হিসাবে আজ আরো একধাপ এগোলো রেল কর্তৃপক্ষ। আজ কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন চালানো হয় সম্প্রসারিত ওই রেলপথে। বিশেষ ট্রেন হলেও এই প্রথম মায়ের গাঁয়ে পৌঁছাচ্ছে ট্রেন। স্বাভাবিকভাবেই জয়রামবাটীর মাতৃ মন্দিরের সন্ন্যাসী ভক্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আবেগ আর উচ্ছাস ছিল দেখার মতো।
এদিন রেলের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের বহু আগে থেকেই ট্রেন দেখতে সাধারণ মানুষেরা ভিড় জমান জয়রামবাটী স্টেশনে। উপচে পড়া সেই ভিড় ঠেলে সাড়ে তিনটা নাগাদ কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন পৌঁছে যায় জয়রামবাটিতে। প্রথম দিনের এই ট্রেন যাত্রার সাক্ষী থাকতে স্টেশনে হাজির ছিলেন মাতৃ মন্দিরের ভক্ত সন্নাসীও। স্থানীয়দের দাবী আগামীদিনে ওই রেলপথে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হলে জয়রামবাটীতে দেশ বিদেশের ভক্তদের আনাগোনা যেমন সহজতর হবে তেমনই বদলে যাবে গোটা এলাকার আর্থ সামাজিক পরিবেশ। ভাবাদিঘির সমস্যা মিটে গেলে হাওড়া থেকে সরাসরি বিষ্ণুপুর যাওয়া যাবে এই লাইনে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
