Punjab Poll 2022: দল নয়, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন মানুষ, সিধু-বোমায় ফের পাঞ্জাবে অস্বস্তিতে কংগ্রেস
Punjab Poll 2022: নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করতে দলকে প্রতিনিয়ত হেয় করে চলেছেন বলে সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ কংগ্রেসের একাংশের।
চণ্ডীগড়: বিধানসভা নির্বাচনে (Punjab Assembly Elections 2022) বাকি মাত্র এক মাস। তার আগেও কংগ্রেসের (Congress) অস্বস্তি বাডি়য়েই চলেছেন নভজ্যোত সিংহ সিধু (Navjyot Singh Sidhu)। এ বার কার্যত দরলের হাই কম্যান্ডকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব নন, পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা রাজ্যবাসীই ঠিক করবেন।
নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যেই মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সিধু। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস হাই কম্যান্ড মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন, কে বলল আপনাদের? পাঞ্জাববাসী ঠিক করবেন, তাঁদের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। মাথা থেকে এ সব ভাবনা ঝেড়ে ফেলুন। বিধায়ক কে হবেন, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, পাঞ্জাবের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘষণা হয়ে গেলেও, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম এখনও খোলসা করেনি কংগ্রেস। দলের অভিজ্ঞ নেতা সুনীল জাখর সম্প্রতি জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে সামনে রেখে ভোটে নামছে না কংগ্রেস। বরং যৌথ নেতৃত্বে ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে দল। সুনীল নির্দিষ্ট করে কারও নাম না নিলেও, যৌথ নেতৃত্ব বলতে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন চরণজিৎ সিংহ চান্নি এবং প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সিধুকেই তিনি বুঝিয়েছেন বলে মl রাজনৈতিক মহলের।
#WATCH | People of Punjab will decide who will be the CM. Who told you that the (Congress) high command will make the CM?: Punjab Congress president Navjot Singh Sidhu pic.twitter.com/AXC0yFWARj
— ANI (@ANI) January 11, 2022
আরও পড়ুন: UP Assembly Election 2022 : এবার উত্তরপ্রদেশেও অস্বস্তিতে বিজেপি, দল ছাড়লেন মন্ত্রী ও ৩ বিধায়ক
সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই পাঞ্জাবে ভোটের লড়াইয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকাকে কার্যত ছেঁটে ফেলতে দেখা গেল সিধুকে। নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান কি না, পরিষ্কার করে তা-ও জানাননি সিধু। বরং বরাবরই জানিয়েছেন, দলের সৈনিক হিসেবেই নিজেকে দেখেন তিনি। মানুষের সমস্যাগুলি তুলে ধরাই তাঁর কাজ। তাই করছেন। গত ৪ জানুয়ারি সিধু একটি সংবাদমাধ্যমে সিধু জানান, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে দল। তিনি তাঁর কাজ করে যাবেন। কিন্তু এ দিন একেবারে উল্টো অবস্থান নিতে দেখা গেল তাঁকে।
সিধুর সঙ্গে মতান্তর এবং সিধুপন্থীদের সামনে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়াতেই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। তার পরেও যদিও দলের সঙ্গে সিধুর সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ হয়ে ওঠেনি। বরং সময় বিশেষে চান্নি সরকারকেও তুলোধনা করতে দেখা গিয়েছে সিধুকে। এ প্রসঙ্গে সিধুর বক্তব্য, ‘‘চান্নির উদ্দেশ্য ভাল। কিন্তু বাজেটের বরাদ্দ সঠিক জায়গায় লাগাতে হবে ওঁকে। সমস্ত প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানতে হবে। রাজ্যবাসীর জন্য কোনটা ভাল, কোনটা ভাল নয়, তা বুঝতে হবে।’’
মাদক মামলায় অভিযুক্ত অকালি নেতা বিক্রম সিংহ মাজিতিয়াকে নিয়েও চান্নি সরকারের সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছে সিধুর। বিক্রমকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সিধুর দাবি, দলের ভাল চান বলেই ভুলগুলি প্রকাশ্যে তুলে ধরেন তিনি। কিন্তু সিধুবিরোধীদের অভিযোগ, কংগ্রেসের সামনে নিজের দাবি-দাওয়া তুলে ধরাই একমাত্র লক্ষ্য সিধুর। নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করতে দলকে প্রতিনিয়ত হেয় করে চলেছেন তিনি।