Buddhadeb Bhattacharya Health: আজ থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ট্যাবলেটের মাধ্যমে দেওয়া হবে স্টেরয়েড
কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে আজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করবেন চিকিৎসকরা...
কলকাতা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার উন্নতি। উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাশি কমেছে। আজ থেকে ট্যাবলেটের মাধ্যমে স্টেরয়েড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্টেরয়েডের মাত্রাও কমানো হয়েছে।
আজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন এই সপ্তাহে কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
এর আগে, গতকাল হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাইপ্যাপ-নির্ভরতা কমছে। স্টেরয়েডের মাত্রা কমানো হয়েছে। তবে হালকা কাশি রয়েছে। সেটাও কমে যাবে বলে গতকালই আশাপ্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। খোঁজ নিচ্ছেন পারিপার্শ্বিক ঘটনাক্রম সম্পর্কে।
গতকাল হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাশি রয়েছে। তাই গতকাল তাঁর বুকের এক্স-রে হয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ১৮ তারিখ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোভিড পজিটিভ হন। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, সোমবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। মঙ্গলবার সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮২ হয়ে যায়। এরপরই তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে উডল্যান্ডস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালর তরফে বুধবার জানানো হয়েছিল, দুটি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রেমডেসিভির দেওয়া শুরু হয়।
পাশাপাশি, প্রয়োজন হলে টকিলিজুমাব দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু, রেমডেসিভিরে কাজ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত টকিলিজুমাব দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় সাড়া দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হতে শুরু করে। চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলেন। নিজের হাতে স্বাভাবিক খাবার খান।
বাইপ্যাপ দিয়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা হয়। এছাড়া, স্যালাইনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড দেওয়া হয়।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। সোমবারই ফিরেছিলেন হাসপাতাল থেকে।
কিন্তু, মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার খানিকক্ষণের মধ্যে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে ফের উডল্যান্ডস-এই ভর্তি করা হয়। তিনিও বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে।