এক্সপ্লোর
Advertisement
অসমে বন্যাত্রাণ হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী পাঠানোর অভিযোগ রামদেবের পতঞ্জলির বিরুদ্ধে
নয়াদিল্লি: রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অসমের মাজুলি জেলায় বন্যাত্রাণ হিসেবে ১২ লক্ষ টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার পর বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ।
এবার বন্যার জেরে অসমের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছিল। জল কমায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করছেন বন্যাদুর্গতরা। কিন্তু এরই মধ্যে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
মাজুলি জেলায় পতঞ্জলির শাখার প্রধান রোহিত বড়ুয়া মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত ৩০ অগাস্ট যে গুঁড়ো দুধ ও পাঠানো হয়েছিল তাঁদের কাছে, সেগুলির মেয়াদ ২০১৬ সালের অক্টোবরেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এ মাসের ৩ তারিখ যে ফলের রস পাঠানো হয়, সেগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ ছিল ৫ তারিখ। রোহিতের দাবি, তাঁরা প্রথমে খাদ্যদ্রব্যগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার দিন না দেখেই সেগুলি বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিলি করেন। স্থানীয় একটি যুব সংগঠন এ বিষয়ে তাঁদের অবগত করেন। এরপরেই তাঁরা জেলা কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানান।
মাজুলির কমিশনার পল্লব গোপাল ঝা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী পাঠানোর অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও, সেগুলি বিলি করা হয়নি বলেই দাবি করেছেন। লোকজন কী কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, সেটা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
পতঞ্জলি সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পতঞ্জলির মুখপাত্র এস কে তিজারাওলার দাবি, তাঁদের সংস্থা কোনওদিন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করবে না। মানবিকতার স্বার্থেই ত্রাণ পাঠানো হয়েছিল। কোনও মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী পাঠানো হয়নি। পরিবেশকরা কোন সামগ্রী বিলি করেছেন, সেটা তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
খবর
Advertisement