PM Modi : হিন্দুসেনার আপত্তি সত্ত্বেও আজমেঢ় শরিফে চাদর পাঠালেন মোদি, 'সবকা সম্মান' স্বাগত জানাল দরগা
প্রধানমন্ত্রী মোদির পাঠানো চাদরটি এই বছর কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু শনিবার অর্পণ করবেন।
চলছে টানা বিতর্ক। হয়েছে মামলা। তারই মধ্যে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর মাধ্যমে আজমেঢ় শরিফে চাদর পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪ জানুয়ারি সেই চাদর অর্পণ করা হচ্ছে। চাদরের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোগ করে নেন মোদি। ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। কিন্তু এবার এই চাদর চ়ড়ানো নিয়ে চলছে বিতর্ক। একটি হিন্দু সংগঠন হিন্দু সেনা মোদির পাঠানো চাদর চড়ানো বন্ধ করতে আদালতে আবেদন জানায় । কিন্তু তা সত্ত্বেও আজমেঢ় শরীফে পাঠানো হল মোদির পাঠানো চাদর। প্রধানমন্ত্রী মোদির পাঠানো চাদরটি এই বছর কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু শনিবার অর্পণ করবেন।
২০১৪ সাল থেকেই দরগায় চাদর পাঠান মোদি। এবারও তার অন্যথা হল না। এই উৎসবে চাদর পাঠানোটা ট্রাডিশন। এর মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির সব কা সাথ, সব কা বিকাশের বার্তাও। তবে এই বছর বিষয়টা একটু আলাদা। কারণ এই দরগা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। হিন্দুপক্ষ নামে সংগঠনটি এই দরগায় অতীতে শিবমন্দির ছিল বলে দাবি জানিয়েছে। সেই মামলা বিচারাধীন। আদালতে শুনানি চলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দরগায় চাদর পাঠানো থেকে বিরত থাকতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন তাঁরা। হিন্দুসেনার তরফে মামলাকারী হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও লেখেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির দরগাতে বার্ষিক উরস উৎসবে চাদর পাঠান প্রধানমন্ত্রী। সেই চাদর অর্পণ করে রিজিজু লেখেন, 'আজমেঢ়ের খজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় চাদর পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা মহান ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান। একই সঙ্গে এটি সম্প্রীতি এবং সহিষ্ণুতার প্রমাণও দেয়।’
হিন্দু সেনার পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয় যাতে প্রধানমন্ত্রীর এই নিবেদনে ইঞ্জাংকশন দেওয়া হয়। কারণ দেখানো হয়, এই মুহূর্তে ওই দরগাটিতে আইনি জটিলতা রয়েছে। হিন্দুসেনার দাবি অনুসারে এই দরগা আদতে হিন্দু মন্দিরের উপর নির্মিত । তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী চাদর নিবেদন করা ঠিক হবে না। কিন্তু তিনি সেকথায় কান দেননি। বরং ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘খাজা মঈনুদ্দিন চিসতির উরসে শুভেচ্ছা। এই উৎসহ সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ ও শান্তি।’
হালে জ্ঞানবাপী থেকে মথুরা, শাহি ইদগাহ থেকে সম্বভলের জামা, ভারতের বহু এলাকাতেই মসজিদের জায়গায় মন্দির ছিল বলে দাবি করে মামলা হয়েছে। অনেকগুলি ক্ষেত্রেই আদালত খনন করে দাবির সত্যতা যাচাইয়ের নিদ্শে দেন। সম্ভলের একটি মসজিদে আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা চলাকালীন ধুন্ধুমার বেঁধে তিনজনের মৃত্যু হয়। তবে এখন আদালতের নির্দেশেই নতুন করে মন্দির বা মসজিদ নিয়ে কোনও সমীক্ষা করা যাবে না।
আজমেড় দরগার তরফে সৈয়দ নাসেরউদ্দিন চিশতি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, 'প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি ভক্তি এবং শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে প্রতি বছর এই চাদর পাঠান। এটি সব ধর্ম, সম্প্রদায় এবং সুফি সাধকদের সম্মান করার ভারতের গভীর-মূল সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে'