তৃণমূলের পঞ্চায়েত পদাধিকারীরা বিজেপিতে এলে টিকিটের অগ্রাধিকার, ভাবনা বিজেপির
কলকাতা: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রাম বাংলা দখলের লক্ষ্যে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। প্রার্থীপদ দেওয়ার প্রশ্নে বেশ কিছু ভাবনা চিন্তা রয়েছে পদ্ম শিবিরের। সূত্রের খবর, টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে অন্য দল ভাঙানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের কেউ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কোনও পদ ছেড়ে, বিজেপিতে এলে তাঁকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিজেপি নেতৃত্বের যুক্তি, আনকোরা কাউকে প্রার্থী করা হলে, তিনি জিতে ফের তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন। তাই বিজেপির প্রথম পছন্দ শাসক দলের পদাধিকারীরাই! কারণ, পদাধিকারীদের পেলে, তাঁর জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। সিপিএম-কংগ্রেস ভাঙানোর জন্য অবশ্য অন্য ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে সরাসরি সিপিএম-কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের প্রস্তাব দেওয়া হবে যে, দল ছাড়লেই টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। কারণ, বিজেপি নেতারা মনে করছেন, সিপিএম-কংগ্রেসের কেউ জিতলে আর পুরনো দলে ফিরে যাবেন না। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সিপিএম-কংগ্রেসের কথা ভাবব। তৃণমূলের পদ থাকলে ভাবব। তবে এই সুযোগে দলে বেনোজোল যাতে না ঢোকে, সে জন্য সাবধানী পদ্ম শিবির। দিলীপ ঘোষ বলেন, যাদের জেতার সম্ভাবনা, ইমেজ ঠিকঠাক, তাদের টিকিট। দল ভাঙানোর পাশাপাশি বিজেপি চাইছে, রাজ্যের বিরোধী ভোটকে একত্রিত করতে। ঠিক যে কৌশল তারা নিয়েছিল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, লড়াইটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাই বিরোধী ভোট একত্রিত করতে হবে। সব সিপিএমকে দলে নিতে হবে। কারণ ওরা সবচেয়ে বড় বিরোধী। পাল্টা তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তুলে বিজেপিকে বিঁধেছে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, সুনীল হোক, বিপ্লব যাই বলুক। ওদের আসল উদ্দেশ্য হল, যারা মমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে তাদের ছত্রভঙ্গ করে মমতাকে শক্তিশালী করা। বিজেপির কৌশল কাজে আসবে না বলে দাবি করছে প্রদেশ কংগ্রেসও। দলীয় বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে। রাজ্যে বলতে পারি, কেউ সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলাবে না। বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্ব এই দাবি করলেও, পড়শি ত্রিপুরায় কিন্তু দেখা গিয়েছে অন্য ছবি! সেখানে প্রথম সারির কংগ্রেস নেতাদের একটা বড় অংশকে দলে টেনে ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছে বিজেপি।